ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গোনির আঘাত
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গোনি আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আজ রোববার কাতানদুয়ানেস দ্বীপে এটি আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। এতে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি লুজোন দ্বীপ অতিক্রম করেছে। এই দ্বীপে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা অবস্থিত। প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এএফপির খবরে জানা যায়, দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় লুজোন ও কাতানদুয়ানেস দ্বীপে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় মোলাভে আঘাত হানে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। গ্রাম ও ফসলের খেত প্লাবিত হয়। একই এলাকায় আবার ঘূর্ণিঝড় গোনি আঘাত হেনেছে।
উপকূলবর্তী অঞ্চল লেগাজপির বাসিন্দা ফ্রান্সিয়া মায়ে বোরাস এএফপিকে বলেন, ‘খুব জোরে বাতাস বইছে। গাছগুলো নুইয়ে পড়ছে। আমরা বাতাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এটা খুব শক্তিশালী।’
সিভিল ডিফেন্স বিভাগের প্রধান রিকার্ডো জালাদ স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বলেন, বাইকল এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র অ্যালেক্সিস নাজ বলেন, ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নাজ আরও বলেন, ‘আমরা কার্যালয়ের বাইরে গাছগুলো পড়ে যেতে দেখছি। বাতাস খুবই শক্তিশালী। জোরে বৃষ্টি হচ্ছে। কাতানদুয়ানেস এলাকায় দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাদের শেষ যোগাযোগ হয়েছে। সেখানে জোরে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাস বইছে। এরপর ওই এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার নিচু বস্তি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে। সক্রিয় দুই আগ্নেয়গিরি মায়োন ও টালের দিকেও নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দক্ষিণাঞ্চলের লুজোন এলাকা ও সাউথ চায়না সাগরে ঢোকার পর আজ বিকেলে বা আগামীকাল সোমবার সকালের দিকে গোনি দুর্বল হতে পারে।
ফিলিপাইনে বছরে গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে।