ফেসবুকে কেন নিষিদ্ধ ছিলেন তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসরিনকে এর আগেও নিজেদের প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করেছিল ফেসবুক
ছবি: টুইটার

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন দাবি করেন, তাঁকে এক সপ্তাহ ফেসবুক ‘নিষিদ্ধ’ করেছিল। আজ সোমবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ কথা জানান তিনি। তসলিমার নাসরিনের দাবি, ‘সত্য বলার কারণে ফেসবুক আবারও আমাকে এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে রেখেছিল।’ তবে কবে থেকে কবে ফেসবুকে তিনি নিষিদ্ধ ছিলেন তা টুইটে জানাননি।

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে জানা যায়, হিন্দুরা নয়, এ কাজ করেছেন ইকবাল হোসেন। এখন জানা যাচ্ছে, এ নিয়ে লেখায় ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করে। ইসলামপন্থীরা নিশ্চুপ ছিলেন, তাঁরা ইকবালের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। এ নিয়ে কথা বলায় ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করে।’

তসলিমা নাসরিনকে এর আগেও নিষিদ্ধ করেছিল ফেসবুক। এ বছরের ১৬ মার্চে এ লেখিকা অভিযোগ করেন, ফেসবুক তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করেছে। তারও আগে ২০১৫ সালে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট তসলিমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি তাদের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ নীতি লঙ্ঘন করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ অর্থাৎ ব্যান করে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের নীতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিদ্বেষমূলক যেকোনো বক্তব্য মানুষের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করি।’ জাতি, জাতিসত্তা, বংশপরিচয়, শারীরিক অক্ষমতা, ধর্মীয় পরিচয়, বর্ণ, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় ও গুরুতর রোগ নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বিবেচনায় নিয়ে অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা নিষিদ্ধ হয়।