ভারতের চায়ে কীটনাশক, ফেরত পাঠাল অনেক দেশ

ভারতের আসামের একটি চা–বাগানে কাজ করছেন চা–শ্রমিকেরাছবি: এএনআই ফাইল ছবি

অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক থাকায় দেশি-বিদেশি ক্রেতারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় চায়ের চালান ফেরত দিয়েছে। গত শুক্রবার ভারতীয় চা রপ্তানিকারকদের সংগঠন (আইটিইএ)-এর চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর পিটিআই’র।

শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে চা রপ্তানির ক্ষেত্রে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করতে চেয়েছিল ভারত। দেশটির চা বোর্ড রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়েছিল।

আইটিইএ-এর চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়া পিটিআইকে বলেন, ভারতে যেসব চা কোম্পানির চা বিক্রি হয়, তার সব কটিকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) এর মানদণ্ড অনুসরণ করতে হয়। এরপরও বাজারে বিক্রি হওয়া চায়ের মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় উচ্চ রাসায়নিক পাওয়া গেছে।

২০২১ সালে ১৯ কোটি ৫৯ লাখ কেজি চা রপ্তানি করেছে ভারত। কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসভুক্ত (সিআইএস) দেশগুলো এবং ইরান ছিল এ চায়ের অন্যতম ক্রেতা। সিআইএসভুক্ত দেশগুলো হলো—আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মলদোভা, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান।
এ বছর ৩০ কোটি কেজি চা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল চা বোর্ড।

কানোরিয়া বলেন, অনেক দেশই চা আমদানির ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ অনুসরণ করছে। বেশির ভাগ দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানদণ্ড অনুসরণ করে থাকে, যা এফএসএসএআই বিধির তুলনায় অনেক বেশি কঠোর।

আইনসম্মত অবলম্বন না করে অনেকে উল্টো সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যেন এফএসএসএআই বিধিগুলো আরও শিথিল করা হয়, বলেন কানোরিয়া।

চা বোর্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, চা মোড়কজাতকারী ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এ ইস্যুতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলে দেওয়া হয়েছে যে এফএসএসএআই-এর বিদ্যমান বিধিগুলো উৎপাদনকারীদের কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো এফএসএসএআই-এর কাছে বিধিগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। আমদানিকারক দেশগুলোর বিদ্যমান বিধিগুলো অবশ্যই রপ্তানিকারকদের মেনে চলতে হবে।
২০২১ সালে ৫ হাজার ২৪৬ কোটি রুপি মূল্যের চা রপ্তানি করেছে ভারত।