মাহাথির স্থিতিশীল, কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে

ছবি: রয়টার্স

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের (৯৬) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। আজ রোববার এমন তথ্যই জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে মেরিনা মাহাথির। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

মাহাথির মোহাম্মদ মারা গেছেন, এমন গুঞ্জন ছড়ানোর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল এক বিবৃতি পাঠানো হয়। সেই বিবৃতিতে এ প্রখ্যাত রাজনীতিবিদের জন্য প্রার্থনার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেরিনা মাহাথির।

অজ্ঞাত সূত্র থেকে ছড়ানো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য তাঁর পরিবারের পাশাপাশি তিনি যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটও (আইজেএন) বিবৃতি দিয়ে জানাবে বলে জানিয়েছেন মেরিনা মাহাথির।

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় মেরিনা বলেছিলেন, তাঁর বাবা মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী সরকারপ্রধান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহাথির। তবে ২০২০ সালে তিনি স্বেচ্ছায় ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর আগে মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

মাহাথিরের হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা অনেক দিনের। একাধিকবার তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। বর্তমানে আইজেএনের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে মাহাথির মোহাম্মদের চিকিৎসা চলছে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তখন তাঁর পুরো শরীর পরীক্ষা করা হয়। রাখা হয় পর্যবেক্ষণে। ওই সময় ছয় দিন ভর্তি থাকার পর ২২ ডিসেম্বর হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরে যান মাহাথির মোহাম্মদ। তখন বলা হয়েছিল, সফলভাবে তাঁর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। এবারও সেই চিকিৎসার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানান মেরিনা।

২০০৭ সালে মাহাথিরের হৃদ্যন্ত্রে বাইপাস সার্জারি করা হয়। এর আগের দুই বছরে তিনি দুইবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। এর আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন এবং সে জন্য তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়। ২০০৭ সালের অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি বুকের সংক্রমণে ভুগছিলেন। ২০১০ সালে বুকের আরেকটি সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসাবিদ্যায় ডিগ্রি নেওয়া এই রাজনীতিবিদ।