মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রতীকী ছবি

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে আটকের পর স্থানীয় সময় আজ সোমবার দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এএফপির খবরে জানা যায়, নেটব্লকস নামের এক নাগরিক সংগঠন বলছে, স্থানীয় সময় আজ ভোররাতে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হয়। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে সু চিকে আটকের অনেক খবর জানা যাচ্ছে না।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টকে এক সেনা অভ্যুত্থানে আটক করা হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। মিয়ানমারে প্রায় পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতায় ছিল সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দেশটির বেসামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ক্ষমতা দখলের ইঙ্গিত দিয়েছিল। এনএলডির মুখপাত্র মিয়ো নিয়ুন্ত বলেন, নেপিডোতে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ত ও সু চিকে আটক করা হয়েছে। এএফপিকে তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন, সেনাবাহিনী তাঁদের নিয়ে গেছে। নিয়ুন্ত জানান, প্রেসিডেন্ট ও সু চিকে নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান পরিচালনা করছে।

এনএলডি বলেছে, কারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন আঞ্চলিক মন্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। নিয়ুন্ত বলেছেন, নতুন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরা আটক হয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।