যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হবে: তালেবান

কাতারের রাজধানী দোহায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে বৈঠক শুরু হচ্ছেফাইল ছবি: রয়টার্স

কাতারের রাজধানী দোহায় আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে বৈঠক শুরু হচ্ছে। তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ যাওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনায় বসতে যাচ্ছে পক্ষ দুটি। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের রাজনৈতিক বন্ধনের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হবে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে সংগঠনটি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গত ৯ ও ১০ অক্টোবর প্রথম দফায় আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান। এ আলোচনা চালিয়ে যেতে গত মঙ্গলবার ঘোষণা আসে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।

আসন্ন বৈঠক নিয়ে নিজেদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছে তালেবান। সেখানে আগামী সপ্তাহে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। টুইটে তালেবান জানায়, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট সমাধান এবং আগের দোহা চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা তোলা হবে।

এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে প্রস্তাবিত আলোচনা চলবে দুই সপ্তাহ ধরে। সেখানে আল-কায়েদাসহ ইসলামি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের হুমকি সামলানো এবং আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে যেসব আফগান কাজ করেছেন, তাঁদের নিরাপদে নিতে সমঝোতার চেষ্টা চলবে।

দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস ওয়েস্ট। গত সপ্তাহে এই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন পেতে তালেবানকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। তালেবানকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে হবে। নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। পাশাপাশি তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগের ক্ষেত্রে সমতা আনতে হবে।

এদিকে গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়া আফগান রিজার্ভের অর্থ ছাড় দিতে আহ্বান জানান।