ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কম। এ জন্য জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না দেশটি। মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি মাত্রা ছাড়িয়েছে। বাজারে পণ্য নেই। জরুরি পণ্য আমদানির মূল্য পরিশোধের জন্য আগামী আট মাসে শ্রীলঙ্কার ৪০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। সরকার ইতিমধ্যে ঋণ পরিশোধ স্থগিত রেখেছে।
এপ্রিলের শুরু থেকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীদের দাবি, রাজাপক্ষে জনগণের আস্থা হারিয়েছেন। তবে তা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। পরে প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিপরিষদ নিয়োগ দেন। তবে নতুন মন্ত্রিসভায়ও বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন তিনি। রাস্তায় যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা চান মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও গোতাবায়া রাজাপক্ষে দুজনই পদত্যাগ করুন।
গত ৩০ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার রঞ্জিত সিয়ামবালাপিতিয়া পদত্যাগ করেন। আজ বুধবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করার কথা রয়েছে।