শ্রীলঙ্কায় সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের বাইরে সরকার-সমর্থক ও সরকারবিরোধীদের সংঘর্ষের পর বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন দেন
ছবি: রয়টার্স

আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় চলছে গণবিক্ষোভ। বিক্ষোভ দমনে কারফিউ জারির পর সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। দেশটিতে সেনা মোতায়েন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রাজধানী কলম্বোয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের খবরে এ কথা বলা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় সেনা মোতায়েন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে হোক কিংবা বেসামরিক কোনো শাখার মাধ্যমেই হোক, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর কখনোই সহিংসতা ও তাঁদের হুমকি দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘আরও খোলাসা করে বলতে গেলে, বিগত কয় দিন ধরে শ্রীলঙ্কায় সহিংসতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আবারও বলতে চাই, আগের মতো আমরা আবারও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, পূর্ণ তদন্ত ও বিচার করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘পূর্বের মতো আবারও বলছি, আমরা শ্রীলঙ্কায় সেনা মোতায়েনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এটা এমন একটা বিষয় যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে যা ঘটছে সেসবও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা।’

নেড প্রাইস বলেন, ‘বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধের ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কার জনগণের অর্থনৈতিক সংকট এবং একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাঁদের উদ্বেগগুলো সরকারকে অবশ্যই সমাধান করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও রাজনীতিকদের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

মহামারির ধাক্কার পাশাপাশি সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক দুর্দশা চলছে শ্রীলঙ্কায়। আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে কয়েক মাস ধরে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পড়েছে দেশটি। মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী। চলছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। ওষুধ নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পতনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেরও পদত্যাগ দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।