সিরিয়ায় 'রাসায়নিক গ্যাস' ব্যবহার করেছে আইএস

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা রাসায়নিক গ্যাস দিয়ে হামলা করেছে বলে গতকাল রোববার অভিযোগ করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। তারা বলছে, এতে আক্রান্ত হয়েছে আঙ্কারাপন্থী ২২ জন সিরীয় বিদ্রোহী। এর মধ্য দিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনল তুরস্ক।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সিরীয় গৃহযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে আইএসের বিরুদ্ধে বিষাক্ত মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থাসহ অন্য পর্যবেক্ষকেরা।
তুরস্কের সেনাবাহিনীর বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু বলেছে, আইএসের রকেট নিক্ষেপের পর তাদের প্রতিপক্ষ ২২ সিরীয় বিদ্রোহীর চোখ ও গায়ে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যা রাসায়নিক গ্যাসের কারণে হওয়া উপসর্গের মতো। কিন্তু ঠিক কী ধরনের গ্যাস আইএস ব্যবহার করেছে তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
আনাদোলুর খবরে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আল রাই শহরের পূর্বের খালিলিয়া গ্রামে এ গ্যাস হামলার ঘটনাটি ঘটে। সেখানে আঙ্কারাপন্থী সিরীয় যোদ্ধারা রয়েছে। ওই এলাকা থেকে আইএসকে উৎখাতের জন্য সিরীয় যোদ্ধাদের একাংশ তুর্কি বাহিনীর সমর্থন নিয়ে লড়াই করছে।
তুর্কি গণমাধ্যমের খবরে আরও জানানো হয়, গ্যাস হামলার শিকার হওয়া সিরীয় বিদ্রোহীদের তুরস্কের সীমান্তবর্তী গ্রাম কিলিসের প্রধান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। টেলিভিশন ফুটেজে দৃশ্যত অসুস্থ সিরীয়দের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। দেখা যায়, তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসা জরুরি ত্রাণ সহায়তাকারীরা পুরো গা ঢাকা সুরক্ষিত পোশাক ও মাস্ক পরে আছে।
এদিকে, তুরস্কের সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তুর্কি বিমান হামলায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ার আল-বাব শহরের কাছাকাছি আনিফাহ অঞ্চলে আইএসের চারটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয়েছে। সংঘর্ষে তুরস্ক-সমর্থিত একজন সিরীয় যোদ্ধা নিহত এবং আরও ১৪ জন আহত হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় বিমান হামলায় তিনজন তুর্কি সেনা নিহত হয়। সিরিয়ার সীমান্তে তুর্কি বাহিনীর গোলায় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তিতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবারের বিমান হামলা সিরীয় সরকারি বাহিনীই করেছে বলে জোর ধারণা তুর্কি সেনাবাহিনীর।