৯০০ বছরের পুরোনো তলোয়ার
শৈশবে সমুদ্রে ডুব দিয়ে মণি–মুক্তা বা হিরে–জহরত তুলে আনার গল্প কে না শুনেছেন! বাস্তবে যে এমন ঘটনা ঘটে না, তা কিন্তু নয়। সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে মাঝেমধ্যে এসব খবর চোখে পড়ে ইদানীং। সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে ইসরায়েলের এক উপকূলে।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের অগভীর একটি সমুদ্র উপকূলে শখের বসে সাঁতার কাটছিলেন স্লোমি কাটজিন নামের এক ডুবুরি। পানির নিচে ডুব দিয়ে পেয়ে যান প্রায় সাড়ে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের (৩.৩ ফুট) একটি তলোয়ার। ধারণা করা হচ্ছে, এটি অন্তত ৯০০ বছরের পুরোনো কোনো ক্রুসেডার নাইট যোদ্ধার।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইফা এলাকার অগভীর সমুদ্রে তলোয়ারটি খুঁজে পান ডুবুরি স্লোমি কাটজিন। তলোয়ারটির ওপরে সামুদ্রিক জীব বাসা বেঁধেছে। ওপর থেকে বালু সরে যাওয়ায় এটি ওই ডুবরির চোখে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ (আইএএ) জানিয়েছে, তলোয়ারটি পরিষ্কারের পর সেটি পরীক্ষা করে দেখা শেষে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে।
বিবিসির দেওয়া তথ্যমতে, ১০৯৫ সালে শুরু হওয়া ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ চলেছে প্রায় এক শতাব্দী। তখন জেরুজালেম ও মুসলমানদের অন্য পবিত্র ভূমি দখলে নিতে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানরা মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়িয়েছে।
আইএএর সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব ইউনিটের প্রধান কোবি শারভিত বলেছেন, তলোয়ারটি পাওয়া গেছে কারমেল উপকূলে। ওই উপকূলে কয়েক শতাব্দী ধরে ঝড়ের সময় বিভিন্ন জাহাজকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো সেখানে নোঙর করেছে। তখনই তারা সেখানে সমৃদ্ধ সব প্রত্নতত্ত্ব ফেলে গেছে হয়তো।
গবেষকেরা মনে করছেন, উপকূলের কাছাকাছি ক্রুসেডারদের আতলিট দুর্গ রয়েছে। ওই দুর্গের সঙ্গে তলোয়ারটির যোগসূত্র থেকে থাকতে পারে।
আইএএর সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব ইউনিটের প্রধান কোবি শারভিত বলেন, তলোয়ারটি পাথরখচিত ও লোহার তৈরি হওয়ার কারণে এটি অনেক ভারী আর আকৃতিতেও অনেক বড়। এ থেকেই বোঝা যায়, এ তলোয়ার যিনি ব্যবহার করেছেন, তিনি কতটা শক্তিশালী।