তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ভবন। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। বৈষম্যের মাধ্যমে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসির আদালতে করিম খান এই আবেদন করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে আমরা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও আবদুল হাকিম হাক্কানি এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে লিঙ্গগত বৈষম্যের কারণে মানবতাবিরোধী অপরাধের ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেয়ে ও নারীদের যাঁরা লিঙ্গ–পরিচয় বা প্রকাশভঙ্গি মেনে চলে না, তাঁদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন চালানোর কারণে [তালেবানের উল্লিখিত নেতারা] ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। যাঁদের মেয়ে ও নারীদের মিত্র বলে তাঁরা মনে করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তারা আফগানিস্তানজুড়ে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন শুরু করেছে, যা এখনো চলছে।

আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান।

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির আবেদন খতিয়ে দেখবেন আন্তর্জাতিক আদালতের তিন বিচারকের একটি প্যানেল। এরপর তাঁরা রায় দেবেন। এই ধরনের আবেদনের রায় কত দিনের মধ্যে দিতে হয়, সেটার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে এই ধরনের আবেদনের রায় দিতে গড়ে তিন মাস লাগে।