আফগান নারীদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: এসএএইচআর

তালেবান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নারীদের পড়াশোনায় তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে তারা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগান নারীদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

২০ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী শেখ নেদা মোহাম্মদ নাদিম স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নারীদের জন্য বন্ধ থাকবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে ব্যক্তি ও সংগঠনের নেটওয়ার্ক এসএএইচআর। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালেবান সরকার নারী ও মেয়েশিশুদের নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে এসএএইচআরের নজরে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীনভাবে চলাচল ও পড়ালেখার মতো অধিকার।

আরও পড়ুন

এসএএইচআরের ভাষ্যমতে, পড়ালেখা এমন একটি মৌলিক অধিকার যা মানুষকে তাঁর সক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের শীর্ষে নিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগান নারীদের নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তালেবানের এই সিদ্ধান্তের কারণে, আগামী বছরগুলোয় আফগানিস্তানে নারী, মেয়েশিশু এমনকি পুরো জাতি যে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে; তা নিয়ে এসএএইচআর উদ্বিগ্ন।

আরও পড়ুন

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এই নেটওয়ার্ক মনে করছে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিশ্বের কাছে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেখান থেকে তারা সরে গিয়েছে। যদিও এই তালেবান সরকারের বৈধতা এখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়নি। ফলে এই পরিস্থিতি আফগানিস্তানের ক্ষুধার্ত ও নানামুখী সমস্যা ঘাড়ে নিয়ে চলা মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন