রাজতন্ত্রের অবমাননার অভিযোগে বিচারের মুখে সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাছবি: এএফপি ফাইল ছবি

রাজতন্ত্র নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর কথা ভাবছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। গতকাল মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মুখপাত্র এ কথা বলেন।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাজাভোগরত থাকসিন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর বিরুদ্ধে আরেক মামলায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকাকালে এক সাক্ষাৎকারে থাকসিন রাজতন্ত্রের অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করে থাই সামরিক সরকার। থাকসিনের বোনের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেই এই সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল। থাকসিন বারবারই রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার অঙ্গীকার করে আসছেন।

থাইল্যান্ডের লেজ মাজেস্তে আইন (রাজা ও রাজতন্ত্রকে অবমাননাসংক্রান্ত আইন) বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনগুলোর একটি। এই আইনের আওতায় রাজা বা রাজপরিবারের কোনো সমালোচনা করা যাবে না।

এ আইনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর গত আগস্টে তিনি ৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে দেশে ফেরেন। ক্ষমতার অপব্যবহারসংক্রান্ত এক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই সাজা ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে এক বছর করেন।

কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে থাকসিন একটি হাসপাতালে আটক আছেন। তিনি এখন পর্যন্ত কারাগারে পূর্ণাঙ্গ রাত কাটাননি। চলতি মাসের শেষের দিকে তাঁর প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার কথা।

থাইল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মুখপাত্র প্রায়ুত পেচখুন সাংবাদিকদের বলেন, থাকসিন বিদেশে ছিলেন দেখে তাঁর বিরুদ্ধে রাজতন্ত্রের অবমাননাসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে সাত বছর দেরি হয়েছে। তবে কখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।

পেচখুন বলেন, ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছেন।

থাকসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পেচখুন বিস্তারিত কিছু বলেননি

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন