পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কেন কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছে না

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি ও আফগান বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির পর সরঞ্জাম পরীক্ষা করছেন তালেবান সদস্য। ১৫ অক্টোবর ২০২৫ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সংঘাত থামানোর উদ্দেশ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দিনের আলোচনা ব্যর্থতায় শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা এমনটা বলেছেন।

আজ বুধবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আফগান প্রতিনিধিদলকেই ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন।

কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে দোহায় দুই দেশের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের পর ১৯ অক্টোবর এক সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামিয়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল।

গত সোমবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, আফগান প্রতিনিধিরা ইসলামাবাদের মূল দাবির বিষয়ে অবস্থান বদল করেছেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, কাবুলকে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেন, আফগান আলোচক দলকে কাবুল থেকে দেওয়া নির্দেশনাগুলোই আলোচনাকে জটিল করে তুলেছে।

বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানো থেকে দুই দেশকে বিরত রাখতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চলতে থাকবে। তবে দুই দেশের মধ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা এখন প্রবল বলে মনে করছেন তাঁরা।

আলোচনায় ব্যর্থতার জন্য কাবুল কর্তৃপক্ষ পাল্টা পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। কাবুল কর্তৃপক্ষের বরাতে আফগান গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের মধ্যে ‘সমন্বয়ের অভাব’ ছিল, তারা ‘পরিষ্কার যুক্তি উপস্থাপন করেনি’ এবং বারবার ‘আলোচনার টেবিল ছেড়ে উঠে গেছে’।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উপমন্ত্রী হাজি নাজিব আফগান আলোচক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কারা অংশ নিয়েছেন, তা প্রকাশ করা হয়নি।

সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে আন্তসীমান্ত সংঘর্ষে দুই দেশের সেনা ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানকে আফগান তালেবানের প্রধান সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসাকে পাকিস্তানে অনেকেই প্রকাশ্যে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন থেকে দুই দেশের সম্পর্ক প্রচণ্ড রকমের খারাপ হতে শুরু করে। মূলত পাকিস্তান তালেবান বা টিটিপিকে নিয়েই এ দ্বন্দ্ব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই বিশ্বজুড়ে নানা সংঘাত মেটানোর কৃতিত্ব দাবি করে থাকেন। এবারও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নাকি ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তান সংকট খুব দ্রুতই মিটিয়ে’ ফেলবেন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে ‘গভীর অবিশ্বাস’ ও ‘পরস্পরবিরোধী অগ্রাধিকারের জায়গাগুলোর’ কারণে দীর্ঘস্থায়ী সমঝোতায় পৌঁছানোটা কঠিন।

উইলসন সেন্টারের সাবেক ফেলো ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সাংবাদিক বাকির সাজ্জাদ সৈয়দ মনে করেন, আফগান তালেবানের জন্য পাকিস্তান তালেবানের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়াটা কঠিন কাজ।

আল-জাজিরাকে বাকির সাজ্জাদ বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে মূল সমস্যাটা মতাদর্শগত জায়গায়। আফগান তালেবানরা দেশের ভেতরের নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিটিপির (পাকিস্তান তালেবান) ওপর নির্ভর করে। সেই নির্ভরতার কারণেই পাকিস্তানের উদ্বেগ সত্ত্বেও তাদের থেকে আলাদা হওয়া কঠিন।’

সমস্যাপূর্ণ বন্ধুত্ব

ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানকে আফগান তালেবানের প্রধান সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসাকে পাকিস্তানে অনেকেই প্রকাশ্যে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন থেকে দুই দেশের সম্পর্ক প্রচণ্ড রকমের খারাপ হতে শুরু করে। মূলত পাকিস্তান তালেবান বা টিটিপিকে নিয়েই এ দ্বন্দ্ব।

টিটিপি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ চলাকালে এ গোষ্ঠীর উত্থান হয়। এ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের সরকারবিরোধী বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে আসছে।

টিটিপি চায় পাকিস্তানের কারাগারে আটক তাদের সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকাগুলোকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত রাখার বিরোধিতা করে।

আফগান তালেবান ও পাকিস্তান তালেবান দুটি আলাদা সশস্ত্র গোষ্ঠী হলেও মতাদর্শগত জায়গা থেকে দুটি গোষ্ঠীর মিল রয়েছে।

আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষরের পর হাত মেলাচ্ছেন। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
ছবি: রয়টার্স

ইসলামাবাদের অভিযোগ, কাবুল শুধু টিটিপিকেই আশ্রয় দিচ্ছে না, বরং বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের মতো অন্যান্য গোষ্ঠীকেও আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আফগান তালেবান টিটিপিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলে উল্লেখ করে আসছে। তারা বারবারই পাকিস্তানের নিরাপত্তাহীনতাকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আসছে।

১৯ অক্টোবর দোহায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আফগানিস্তানের পক্ষে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্বাক্ষর করেছিলেন। সেদিন এক সাক্ষাৎকারে মোল্লা ইয়াকুব বলেছিলেন, রাষ্ট্রগুলো কখনো কখনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ‘সন্ত্রাসবাদ’ তকমা ব্যবহার করে।

ইয়াকুব আরও বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনো সর্বজনীন বা স্পষ্ট সংজ্ঞা নেই। যেকোনো সরকার নিজের স্বার্থে বিরোধীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে।

আফগানিস্তান থেকে টিটিপি এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে ইরান, রাশিয়া, চীন ও মধ্য এশিয়ার কিছু দেশ আফগান তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। অক্টোবরের শুরুতে মস্কোতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়। ওই আলোচনায় আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও উপস্থিত ছিলেন।

বাড়ছে মৃত্যু, বাড়ছে উত্তেজনা

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কয়েকটি হামলায় দুই ডজনের বেশি পাকিস্তানি সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সাল পাকিস্তানের জন্য গত দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছরগুলোর একটি। গত বছর ২ হাজার ৫০০-এর বেশি মানুষ হতাহত হয়েছে। আর ২০২৫ সালের এ সময়ের মধ্যেই সংখ্যাটা আগের বছরের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে।

বেসামরিক নাগরিক বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য—সবাইকেই হামলার নিশানা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে। উভয় অঞ্চলে টিটিপির কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটার (এসিএলইডি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাছে থাকা উপাত্ত অনুযায়ী শুধু গত এক বছরে টিটিপি কমপক্ষে ৬০০টি হামলা বা সংঘর্ষে যুক্ত হয়েছে। ২০২৫ সালে তাদের কার্যক্রম ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের সব কার্যক্রমকে ছাড়িয়ে গেছে।’

টিটিপি চায় পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকা তাদের সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকাগুলোকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত রাখার বিরোধিতা করে। আফগান তালেবান ও পাকিস্তান তালেবান দুটি আলাদা সশস্ত্র গোষ্ঠী হলেও মতাদর্শগত জায়গা থেকে দুটি গোষ্ঠীর মিল রয়েছে।

সশস্ত্র সংঘাতের জায়গা ও তথ্য-উপাত্ত

ইসলামাবাদভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইহসানউল্লাহ টিপু মেহসুদ বলেন, পাকিস্তানি আলোচকদের বুঝতে হবে যে তালেবান ও টিটিপির সম্পর্ক মতাদর্শিক। তাই আফগান সরকারের পক্ষে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়াটা কঠিন।

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই। তিনিও মনে করেন, এখন শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে।

মেহসুদ ও সামি দুজনই উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ বা সামরিক হামলার মুখেও তালেবান সাধারণত তার মিত্রদের পাশে থাকে।

মেহসুদ বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা আফগান তালেবানের মধ্যে একই মনোভাব দেখেছি। ৯/১১ হামলার পরও তারা আল-কায়দার সঙ্গে অটলভাবে থেকে যায়।’

সামি মনে করেন, ‘আফগান তালেবানের যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা আছে, তারা সামরিক চাপ সহ্য করতে সক্ষম।’

কূটনৈতিক ব্যর্থতা

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই পক্ষই কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করেছে। সেখানে কাতার ও তুরস্কের পাশাপাশি চীনও মধ্যস্থতা করেছে।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তান হয়তো দ্রুতই বুঝে গেছে, তাদের উদ্বেগ সমাধানের জন্য বেসামরিক উপায় নেই বললেই চলে।

সাবেক পাকিস্তানি ফেলো বাকির সাজ্জাদ সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফের একটি বক্তব্যকে সামনে টেনে আনেন। সম্প্রতি আসিফ হুমকি দিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানে টিটিপির আশ্রয়স্থলগুলো নিশানা করে বিমান হামলা বা সীমান্ত অতিক্রম করে স্থল অভিযান চালানো হতে পারে।

সাজ্জাদ সৈয়দ মনে করেন, নতুন করে আলোচনা শুরু করতে বা আলোচনাটি অন্য কোনো জায়গায় সরিয়ে নিতে মধ্যস্থকারীরা বিশেষ করে কাতার ও তুরস্ক শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা চালাবে।

সাজ্জাদ বলেন, যুদ্ধবিরতি মেনে চলার শর্তে অর্থনৈতিক প্রণোদনা বা সহায়তা দেওয়াটা একটি উপায় হতে পারে। প্রতিবেশী দেশ দুটিকে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাত থেকে বিরত রাখার একটি উপায় হতে পারে এটি। সম্প্রতি বিভিন্ন সংঘাত থামানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে এমন উপায় অবলম্বন করতে দেখা গেছে।

সামি ইউসুফজাই বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান সংকটকে কেন্দ্র করে দেশের অভ্যন্তরে আফগান তালেবানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখন আফগানিস্তানের ভেতরে ঢুকে ইসলামাবাদ যদি পাকিস্তান তালেবানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়, তাহলে তাদের প্রতি সহানুভূতি আরও বাড়তে পারে।

সামি বলেন, পাকিস্তান যদি বোমা হামলা চালিয়ে যায়, তবে নিরীহ মানুষ নিহত হতে পারে। এতে জনগণ এবং আফগান তালেবানের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধী মনোভাব আরও বৃদ্ধি পাবে।

সামি মনে করেন, এই পরিস্থিতি বিশেষ করে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা যদি এতে হস্তক্ষেপ করেন, তবে ইসলামাবাদের জন্য তা উদ্বেগজনক হতো।

সামি সতর্ক করে বলেন, ‘আখুন্দজাদা যদি আদেশ জারি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন, তখন অনেক তরুণ আফগান তালেবানের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। এটা আফগানদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে পাকিস্তানের জন্যও পরিস্থিতি ভালো হবে না।’

এই সাংবাদিকের মতে, এ ক্ষেত্রে একমাত্র সুবিধাভোগী হবে টিটিপি। তারা তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে আরও বেশি উদ্যম পাবে।