নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস
ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হলেন ক্রিস হিপকিনস। খবর এএফপির।

৪৪ বছর বয়সী হিপকিনস আজ বুধবার দেশটির রাজধানী ওয়েলিংটনে এক অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁকে শপথ পড়ান নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল।

আনুষ্ঠানিকভাবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর হিপকিনস বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ও দায়িত্ব।’

আরও পড়ুন

জেসিন্ডার জায়গায় হিপকিনসকে বেছে নিল নিউজিল্যান্ড

হিপকিনস বলেন, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলা করতে তিনি উৎসাহ বোধ করছেন।

গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাঁর পদত্যাগের এই আকস্মিক ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করে।

জেসিন্ডার পদত্যাগের ঘোষণার পর নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা গত রোববার দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিপকিনসকে বেছে নেন। হিপকিনস এই পদের জন্য একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।

লেবার পার্টি থেকে হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে আসার আগে তিনি দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে।

আরও পড়ুন

নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

হিপকিনস নিউজিল্যান্ডের মিশ্র সংস্কৃতির প্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনি দুই সন্তানের পিতা। তাঁর ডাকনাম ‘চিপ্পি’। তিনি নিজেকে একজন সাধারণ কিউই হিসেবে বর্ণনা করেন। সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতে পছন্দ করেন তিনি। তাঁর প্রিয় খাবার সসেজ রোল।

করোনা মহামারিকালে হিপকিনস আলোচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তিনি ২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। একই বছরের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলাসংক্রান্ত মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিউজিল্যান্ডের করোনা মহামারি মোকাবিলার ‘স্থপতি’ বলা হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ দারুণভাবে প্রশংসিত হয়।

আরও পড়ুন

জেসিন্ডার পদত্যাগের কারণ জানালেন হবু প্রধানমন্ত্রী হিপকিনস

গত বছরের মাঝামাঝিতে নিউজিল্যান্ডের পুলিশবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলান।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে হিপকিনস বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী একটি স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করেছে। এখন তা তৈরি করেছে অর্থনৈতিক সংকট। এ দিকেই তাঁর সরকারের গুরুত্ব থাকবে।

আগামী অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগে সরকারের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব হিপকিনসের।