দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ আর সম্ভব নয়: কিম জং-উন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনফাইল ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘প্রাথমিক শত্রু’ হিসেবে গণ্য করে সংবিধান পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আর একীভূত হওয়া সম্ভব নয়।
এ লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ার গতকাল সোমবার বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব সংস্থা দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের কাজে যুক্ত ছিল।

উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে যুদ্ধ চেপে বসলে সেটা এড়ানোর মনমানসিকতা আমাদের নেই।’ তাঁর এই বক্তব্যের পর এসব সংস্থার কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ আজ মঙ্গলবার কিম জং-উনের এই ভাষণ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন

নিজ দেশের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে কিম জং-উন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণ আর সম্ভব নয়। এ সময় তিনি সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানান। কিম জং-উন জানান, সংবিধান সংশোধন করে দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘বৈরী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করবে তাঁর দেশ।

সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি বা উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া তিনটি সরকারি সংস্থা হলো কমিটি ফর দ্য পিসফুল রিউনিফিকেশন অব দ্য কান্ট্রি, দ্য ন্যাশনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন ব্যুরো এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তিনটি সংস্থা দুই কোরিয়াকে এক করার কাজে যুক্ত ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। এসব পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তরের সম্পর্ক বেশ শীতল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কিম জং-উন দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণে যুক্ত সরকারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের কথা জানালেন।

এদিকে ‘বৈরী রাষ্ট্র’ হিসেবে তাঁর দেশকে চিহ্নিত করায় আজ পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘দেশবিরোধী ও ঐতিহাসিক’ চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল সোমবার উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা হাইপারসনিক ওয়ারহেডযুক্ত সলিড-জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুয়াসং-১৮-এর পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।

এ পরিস্থিতিতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া জোরদার করেছে। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষার জবাবে ভবিষ্যতের আগ্রাসনের প্রস্তুতি এসব সামরিক মহড়া।