কিরগিজস্তান–তাজিকিস্তান সংঘর্ষে নিহত ২৪

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দেশ দুটি পরস্পরকে দায়ী করেছে
ছবি: রয়টার্স

প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে মধ্য এশিয়ার আরেক দেশ কিরগিজস্তান। গতকাল শুক্রবারের এ সংঘাতে ২৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্সের

কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বাতকেন ও তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সুগদ অঞ্চলে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে এটি সর্বশেষ সহিংসতার ঘটনা। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দেশ দুটি পরস্পরকে দায়ী করেছে।

এক বিবৃতিতে কিরগিজ সীমান্ত বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা তাজিক হামলা ঠেকানো অব্যাহত রেখেছেন। এতে বলা হয়, কিরগিজ অবস্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছেন তাজিকরা। কিছু এলাকায় ব্যাপক লড়াই চলছে।

কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলছে, দেশটির ২৪ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৭ জন। তবে হতাহত ব্যক্তিদের কতজন সামরিক বাহিনীর সদস্য এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

আরও পড়ুন

কিরগিজের সরকারি জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রধান কামচিবেক তাশিয়েভকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ বলেছে, সংঘর্ষে সেনাসদস্যরাই বেশি আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি জটিল। কাল কী হবে সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না।

কিরগিজের জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কিরগিজস্তান বলছে, তাজিক বাহিনী ট্যাংক, সেনা বহনকারী সাঁজোয়া যান ও মর্টার নিয়ে কিরগিজ গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাতকেন শহরের বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় তারা গোলাবর্ষণ করেছে।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে কিরগিজস্তান ‘ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে একটি সীমান্তচৌকি ও সাতটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাজিকিস্তান।

জাপোরভের কার্যালয় বলেছে, এর আগে দিনের উজবেকিস্তানে এক আঞ্চলিক সম্মেলনে যুদ্ধবিরতি ও সেনা সরিয়ে আনার নির্দেশ দিতে একমত হওয়ার কথা জানান কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপোরভ ও তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমন।

অমীমাংসিত সীমান্ত নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে প্রায়ই এ ধরনের সংঘর্ষ হয়। গত বছরও এ রকম সংঘর্ষের জেরে যুদ্ধ শুরুর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।