এবার দুবাইয়ে পাওয়া যাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি

পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে দুবাইয়ে চাঁদের আদলে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে
ছবি: মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ইনকরপোরেশন

বর্তমান বিশ্বে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ঝাঁ-চকচকে ও সুউচ্চ ভবন, ছুটি কাটানোর বিলাসী সব ব্যবস্থা পর্যটকদের শহরটিতে টেনে আনে। এবার দুবাইয়ে চাঁদের আদলে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এটি বানানো হচ্ছে। সেখানে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি পাওয়া যাবে।

মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ইনকরপোরেশন (এমডব্লিউআর) নামের কানাডার একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান রিসোর্টটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা সান্দ্রা জি ম্যাথুস ও মিখায়েল আর হ্যান্ডারসন জানান, প্রস্তাবিত রিসোর্টের ভবনের উচ্চতা হবে ৭৩৫ ফুট বা ২২৪ মিটার। ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ে বিলাসবহুল রিসোর্টটি নির্মাণ করা হবে। আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, চাঁদের আদলে নির্মিত বিলাসবহুল ও অভিজাত এই রিসোর্টে প্রতিবছর এক কোটি দর্শনার্থী ভ্রমণ করতে পারবেন। মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, দর্শনার্থীরা সেখানে এসে চাঁদের পৃষ্ঠে ভ্রমণের মতো অনুভূতি পাবেন। কারণ, সেখানে লুনার কলোনি নামের একটি স্থান থাকবে। সেখানে বছরজুড়ে ২৫ লাখ ভ্রমণকারী চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণে যাওয়ার মতো স্বাদ নিতে পারবেন। দুবাইয়ের মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে ‘স্কাই ভিলা’ থাকবে, যেটা চাঁদের আবাসন এলাকায় বসবাসের মতো অনুভূতি দেবে।

উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, দর্শনার্থীদের জন্য রিসোর্টে থাকবে স্পা, নাইট ক্লাব, সম্মেলনকক্ষ, লাউঞ্জ, ব্যক্তিগত আবাসের ব্যবস্থাসহ আধুনিক ও অভিজাত সব সুযোগ-সুবিধা। ভবনটি মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ও নভোচারীরা প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ভবনটির নকশা তৈরি ও নির্মাণে ব্যবহার করা হবে স্থাপত্য ও প্রকৌশলবিদ্যার সর্বাধুনিক কলাকৌশল ও প্রযুক্তি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। দুবাই ছাড়াও ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ায় আরও তিনটি চাঁদের আদলে বিলাসবহুল রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এমডব্লিউআরের।

হ্যান্ডারসন বলেছেন, মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট পর্যটন, বাণিজ্যিক, আবাসন ব্যবসা, অবকাঠামো, আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান, বিমান চলাচল ও মহাকাশ, জ্বালানি সম্পদ, কৃষি, প্রযুক্তি, শিক্ষাসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলবে।