১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছের একটি এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়েছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া আজ সোমবার একটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র, যার পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এ তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়া ১২ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছের একটি এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগর অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

জাপানের কোস্টগার্ড প্রাথমিকভাবে জানায়, সন্দেহভাজন ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পর হোক্কাইডো দ্বীপের পশ্চিম দিকের সাগরে গিয়ে পড়ে।

জাপানের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির এনএইচকে সম্প্রচারমাধ্যম জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় উঠেছিল।

জাপানি কর্মকর্তারা শুরুতে বলেন, এটি সম্ভবত একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)।

পরে জাপানের সংসদীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী শিঙ্গো মিয়াকে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এটি আইসিবিএম শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র, যার পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এ পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭৩ মিনিট উড়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপে মনে হয়, দেশটি দূরপাল্লার অস্ত্র তৈরি করে তার অস্ত্রভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা এমন দূরপাল্লার অস্ত্র তৈরি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে।

গত সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে একটি আইসিবিএম উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তখন তিনি কোনো বিবরণ দেননি।

গতকাল রোববার রাতে উত্তর কোরিয়া একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সমুদ্রে পড়েছিল।