চীনের সরকারি চাকুরে দম্পতিকে গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল যুক্তরাজ্য: বেইজিং

যুক্তরাজ্য ও চীনের পতাকা। বেইজিংয়ের দিয়াওইউতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই–৬ চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ উইচ্যাটে এমন তথ্য জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চীনা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, চীনের বিরুদ্ধে দেশটির দুই কর্মকর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তিতে নামান এমআই–৬–এর গোয়েন্দারা। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী–স্ত্রী। স্বামীর ডাকনাম ওয়াং, আর স্ত্রীর নাম ঝোউ। দুজনই চীনের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার ‘অতি গোপনীয়’ বিভাগে চাকরি করতেন।

চীন সরকার বলছে, ২০১৫ সালে চীনা–ব্রিটিশ শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির অধীন যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করতে যান ওয়াং। তখন এমআই–৬–এর সদস্যরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তাঁকে নৈশভোজ ও ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল ওয়াংয়ের ‘আগ্রহ ও দুর্বলতাগুলো’ ভালোভাবে বোঝা।

পরে সময় বুঝে ওয়াংকে যুক্তরাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিনিময়ে ভালো পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পান তিনি। ওয়াং প্রথমে এই প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজি হন। চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, ওয়াংয়ের মাধ্যমে একপর্যায়ে ঝোউকেও নিয়োগ দেয় এমআই–৬।

এমন একসময় চীন এই অভিযোগ করল, যখন মাত্র এক মাস আগেই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য পুলিশ বলছে, ওই দুজন নানা ধরনের তথ্য একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে দিয়েছেন। যদিও যুক্তরাজ্যের এই অভিযোগকে ‘অপবাদ’ আখ্যা দিয়েছিল বেইজিং।

সম্প্রতি চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বাড়ছে। যেমন এ মাসের শুরুতেই হংকংয়ের গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠা এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মেরিনের সদস্য ছিলেন।