গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা, ১৫ জন নিহতের দাবি

গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বাহিনী। উদ্ধারকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
ছবি : এএফপি

গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। খবর এএফপির

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেক্ট বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, অভিযানে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে অভিযান এখনো শেষ হয়নি।’

ইসরায়েল সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। গোষ্ঠীটির হুমকির জবাবে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক শিশু ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের এক কমান্ডার রয়েছেন।

দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে পিআইজের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর কয়েক দিন ধরে চলা উত্তেজনার পর ইসরায়েলি বাহিনী এ বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজাভিত্তিক পিআইজে ইসরায়েলে কেন্দ্রীয় এলাকায় পাল্টা বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘ইসরায়েল সন্ত্রাসী সংগঠনকে এজেন্ডা নির্ধারণ করতে দেবে না। ইসরায়েলের ক্ষতি করার জন্য কেউ উঠে দাঁড়ালে তার কাছে আমরা পৌঁছে যাব। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ইসরায়েলের নাগরিকদের হুমকি দূর করতে ইসলামিক জিহাদের সদস্যদের দমন করবে।’

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, পিআইজির কার্যক্রম রয়েছে, এমন অঞ্চলে তারা হামলা করেছে। এর মধ্যে গাজা সিটির সুউচ্চ ‘প্যালেস্টাইন টাওয়ার’ রয়েছে। সেখানে বোমা হামলার পর ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পিআইজের কমান্ডার তাইসির জাবারিসহ সংগঠনটির চার সদস্য ও পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।