৮৫ বছর আগের টিকিট দেখিয়ে ঢুকলেন মেলায়

ওসাকা এক্সপো ২০২৫ছবি: এএফপি

জাপানের ওসাকা এক্সপোর বেশ নামডাক আছে। জাপানের বাইরে থেকেও বহু মানুষ আন্তর্জাতিক এই মেলায় আসেন। এ বছর প্রথমবারের মতো এই মেলায় এসেছেন ফুমিয়া তাকেনাওয়া।

ফুমিয়া যে টিকিট নিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে এসেছিলেন, সেটি কিন্তু সাধারণ কোনো টিকিট ছিল না। সেটি ১৯৪০ সালের ওসাকা এক্সপো মেলার টিকিট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে ৮৫ বছর আগের সেই মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

১৯৪০ সালের জাপান এক্সপোর জন্য তার দুই বছর আগে ১৯৩৮ সালে ১০ লাখ ‘টিকিট বুকলেট’ ছাড়া হয়েছিল। প্রতিটি বুকলেটে ১২টি টিকিট থাকত। সে সময় প্রতিটি বুকলেট বিক্রি হয় ১০ ইয়েনে। বর্তমান বাজারদর হিসাব করলে তা এখন প্রায় ১৭ হাজার ইয়েন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ব তখন উত্তাল। যুদ্ধের মধ্যে ১৯৪০ সালের জাপান এক্সপো বাতিল হয়। কিন্তু মেলা বাতিল হলেও যাঁরা মেলার আগাম টিকিট কিনেছিলেন, তাঁরা আর যুদ্ধের ডামাডোলে টিকিটের অর্থ ফেরত চাওয়ার সুযোগ পাননি।

সেই সময়ের একটি টিকিট ফুমিয়ার হাতে পড়ে। গত মার্চে তিনি জাপানের গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ১৯৪০–এর ওই টিকিট কেনেন।

২৫ বছর বয়সী ফুমিয়া শুরুতে টিকিটটি তাঁর বাড়িতে সাজিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু পরে টিকিটটি নিয়ে তাঁর কৌতূহল জাগতে শুরু করে। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে যে ২০২৫ সালের মেলায় তিনি এই টিকিট ব্যবহার করতে পারবেন কি না। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ফুমিয়া জাপানের ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আয়োজকেরা ফুমিয়াকে জানান, যদি টিকিটটি আসল হয় এবং সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে তাঁরা খুশিমনে ওই টিকিট ব্যবহার করতে দেবেন।

ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এর আয়োজকেরা দ্য জাপান টাইমসকে বলেন, ১৯৪০ সালের মেলার টিকিট যাঁরা কিনেছিলেন, তাঁদের বেলায় অতীতে যে নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল, এটি তারই ধারাবাহিকতা।

আয়োজকেরা আরও জানান, এর আগে ১৯৭০ সালের ওসাকা এক্সপোতে তাঁরা ১৯৪০ সালের মেলার তিন হাজার টিকিট ব্যবহার করতে দিয়েছেন। আর ২০০৫ সালে আইচি এক্সপোতে প্রায় ১০০ টিকিট ব্যবহার করা হয়।