আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ৫০
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের ঘোর প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। গতকাল শুক্রবার এ বন্যা আঘাত হানে। প্রদেশটির পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রাহমান বাদরি আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যায় প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ভয়াবহ এ বন্যায় কয়েক হাজার গবাদিপশুও প্রাণ হারিয়েছে। কয়েক শ একর আবাদি জমি এবং কয়েক শ সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার গাছ।
বন্যা আঘাত হানার অল্প কিছু সময় আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। ফাঁকা গুলি ও মসজিদের মাইক থেকে বন্যার পানি আসছে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। এরপর অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে তুলনামূলক উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন। ফলে প্রাণহানি কিছুটা কমেছে।
ঘোর প্রদেশের ফিরোজকহ জেলার বাসিন্দা জহির জাহিদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বন্যার পানির ঢল নামে। সেই পানি সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমার চোখের সামনে নিজের বাড়িঘর শেষ হয়ে যেতে দেখলাম।’
ঘোর প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ওবায়দুল্লাহ মুরাদিয়ান বলেন, বন্যার কারণে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজধানী ছ্যাগচারানসহ প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা আঘাত হেনেছে। রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। দুর্গত ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়, খাদ্য ও পানি দরকার। পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা।
১০ মে দারিদ্র্যে জর্জরিত কৃষিনির্ভর দেশটিতে বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও তালেবান সরকারের তথ্যমতে, ওই বন্যায় অন্তত ৩০০ জন নিহত হন। ধ্বংস হয়েছে প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি। এর আগেও গত মাসের মাঝামাঝি থেকে চলতি মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত বন্যায় দেশটির ১০টি প্রদেশে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।