ট্রাম্পের কোরিয়া সফরের ঠিক আগে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
চলতি এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে দেশটিতে তাঁর পৌঁছানোর আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের পশ্চিম উপকূলে নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এ খবর জানায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এটি ছিল তাদের সমুদ্র থেকে স্থলে নিক্ষেপযোগ্য সর্বাধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। এটি ‘শত্রুদের’ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তির কথা মনে করিয়ে দেবে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এদিন দেশটি যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, তাতে জাতিসংঘের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হয়নি। কারণ, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এদিন দেশটি যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, তাতে জাতিসংঘের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন হয়নি।
তবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় এবং উত্তর কোরিয়া যে ভাষায় তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর জানিয়েছে, তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, এখন তাঁর সব মনোযোগ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে। তবে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে দেখা করতে আবারও এ অঞ্চলে আসতে চান।
ট্রাম্পের এ বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই কিমের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু ট্রাম্পের কোরিয়া পৌঁছানোর ঠিক আগে দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিশ্চিতভাবেই কিমের সে হাত প্রত্যাখ্যান করার ইঙ্গিত দেয়।
ট্রাম্প বলেছেন, এখন তাঁর সব মনোযোগ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে। তবে তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সঙ্গে দেখা করতে আবারও এ অঞ্চলে আসতে চান।
মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোটের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প তাঁর এশিয়া সফর শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি জাপানে যান। জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে এ বৈঠকে লি জে মিউং তাঁর দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ১৫ শতাংশে বলবৎ রাখার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়েও লির ওপর চাপ রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সফরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের এবারের এশিয়া সফর শেষ হবে।