ইন্দোনেশিয়ায় সাংস্কৃতিক রাজধানীতে অগ্ন্যুৎপাত, ছাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ গ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। এতে আশপাশের ৮টি গ্রাম ছাইয়ের নিচে ঢাকা পড়েছে
ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার ইয়োজিয়াকার্তা অঞ্চলে আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভাসহ কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ও ছাই নির্গত হতে শুরু করে। এতে আশপাশের আটটি গ্রামের ঘরবাড়ি ছাইয়ে ছেয়ে গেছে। কিছুটা দূরের শহরগুলোতেও ধোঁয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে।

ইয়োজিয়াকার্তা ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় কমপাস টিভিতে প্রচারিত খবর ও ছবিতে দেখা যায়, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি একটি গ্রামের বাড়িঘর ও সড়ক ছাইয়ের নিচে ঢাকা পড়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে আশপাশের খনি থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনসহ ওই এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাত কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে লাভা, ছাই ও পাথরের টুকরা ছড়িয়ে পড়ছে। মেরাপি থেকে ছড়িয়ে পড়া ছাই ৯ হাজার ৬০০ ফুট ওপরে পৌঁছেছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের পর ধোঁয়ার মেঘ সৃষ্টি হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাতে আশপাশের ৮টি গ্রাম ছাইয়ে ঢাকা পড়েছে
ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়া ১৩০টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। মেরাপি দেশটির সবচেয়ে উঁচু সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। সর্বশেষ ২০১০ সালে এর থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। তখন ৩০০ জনের বেশি নিহত হন। ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

গতকালের অগ্ন্যুৎপাত ১৯৩০ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সময় অগ্ন্যুৎপাতে ১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়। ১৯৯৪ সালেও এ আগ্নেয়গিরি ফেটে লাভা নির্গত হয়েছিল। তখন ৬০ জনের মৃত্যু হয়।