৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছিল জনরায়ের সবচেয়ে বড় ডাকাতি: ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাহোর, পাকিস্তান। ১৭ মার্চ, ২০২৩ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘আমার দল ভুক্তভোগী। (পাকিস্তানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে) বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জনরায় ডাকাতির সবচেয়ে বড় ঘটনা।’

আজ বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে এক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে কথা বলার সময় ইমরান খান এসব অভিযোগ করেন। তিনি বর্তমানে কারাগারের একটি নির্জন সেলে বন্দী রয়েছেন।

গত আগস্টে কারাবন্দী হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবারের আগে ইমরান খানকে আর কখনো উন্মুক্ত আদালতে কথা বলতে দেখা যায়নি।

ইমরান খান এর আগেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন তা অস্বীকার করেছে।

৭১ বছর বয়সী ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন। এর বাইরেও তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।

ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দাবি, এসব অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর ক্ষমতায় ফেরা ঠেকাতেই এসব মামলা সাজানো হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। এ পরিস্থিতিতে কয়েকটি দলের সঙ্গে জোটে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ।

ইমরান খানকে অনলাইন মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত। আজ দেশটির দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের বিরুদ্ধে নিজের করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি।

ইতিপূর্বে কারাগারে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বিচারের সময় ইমরান খানকে কেবল বাছাই করা মুষ্টিমেয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

আগে ইমরান খানের সহযোগীরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বড় পরিসরে বার্তা পৌঁছে দিতেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখনো সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু এটা কে পরিচালনা করেন, তা স্পষ্ট নয়।