এভাবে স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি

নির্মাণশ্রমিক ক্রাচ পিউ। সারা দিন ইট–সুরকি নিয়ে তাঁর কাজ। জীবনে কখনো উড়োজাহাজে উঠতে পারেননি। কিন্তু উড়োজাহাজ তাঁর বেশ প্রিয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন যে উড়োজাহাজে চড়তে পারেননি, সেই উড়োজাহাজকে বাড়িঘরে পরিণত করবেন। সারা জীবনের সঞ্চয় ২০ হাজার ডলার দিয়ে বানালেন ইট–পাথরের উড়োজাহাজ।

কম্বোডিয়ার সিম রিপ শহরের কাছে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ক্রাচ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এমন একটি বাড়ির স্বপ্ন আমার। আমি আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে অত্যন্ত খুশি।’ ১২ মার্চ বাড়িটির ছবি তুলেছে বার্তা সংস্থা এএফপি

১ / ৬
প্রাইভেট জেট বিমান আকৃতির বাড়ির সামনে গাছে পানি স্প্রে করছেন ক্রাচ। মাটি থেকে ছয় মিটার উঁচু স্তম্ভের ওপর বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।
২ / ৬
উড়োজাহাজের মতো করেই পাখা, টেইলফিন, ল্যান্ডিং গিয়ার ও ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে। তবে সবকিছুই ইট-সুরকির।
৩ / ৬
বিপত্নীক ক্রাচ তিন সন্তানের বাবা। বাড়িটি তৈরিতে তাঁর প্রায় এক বছর লেগেছে। নিজের ৩০ বছরের সঞ্চয় এখানে খরচ করেছেন।
৪ / ৬
বাড়িটিতে আছে দুটি শোবার ঘর, দুটি শৌচাগার। ক্রাচ বলেন, ‘আমরা এখানে থাকতে পারি, ঘুমাতে পারি। এমনকি উড়োজাহাজে যেভাবে খাবার খাওয়া যায়, এখানেও যায়। এটি আমার। আমি খুব খুশি।’
৫ / ৬
ইন্টারনেটে প্রাইভেট জেটের অসংখ্য ভিডিও দেখে তিনি বাড়ির নকশা করেছেন। পর্যটকদের অর্থের বিনিময়ে বাড়িটি দেখার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাড়িটি ঘুরে দেখতে ও সেলফি নিতে চাইলে গুনতে হবে ৫০ সেন্ট থেকে ১ ডলার পর্যন্ত।
৬ / ৬
২৮ বছর বয়সী কিম মুয় তাঁর পরিবার নিয়ে ‘উড়োজাহাজ বাড়ি’ ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘বাড়িটি খুবই সুন্দর, আকর্ষণীয়। বাড়ির কাছেই পামগাছও রয়েছে।’ কিন্তু ক্রাচের ইচ্ছা একদিন তিনি সত্যিকারের উড়োজাহাজে উড়বেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমার টাকা হবে, আমি জানি আমি কোথায় যেতে চাই, সেদিন আমি উড়োজাহাজে করে সেখানে যাব।’