ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় আফগানিস্তান
আফগানিস্তান ভারতকে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’ হিসেবে দেখে বলে মন্তব্য করেছে তালেবান সরকার। গতকাল বুধবার দুবাইতে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির বৈঠকের পর তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের পর তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর এই প্রথম তালেবান সরকারের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও দিল্লির শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার মধ্যে বৈঠক হলো।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের করাচি ও গোয়াদর বন্দরকে এড়িয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করেছে ভারত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেওয়া পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ইসলামিক আমিরাত (আফগানিস্তান)।’
বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে দিল্লি এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর নজর দিচ্ছে।
ভারতসহ এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ভারতসহ কয়েকটি দেশ কাবুলে ছোট পরিসরে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে তালেবান সরকারের অধীনে বাণিজ্যিক ও মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এসব দেশ।