চীনে করোনার এত সংক্রমণ আগে দেখা যায়নি: ডব্লিউএইচও

মরদেহ সৎকার করতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চীনের শ্মশানকর্মীরা
ছবি: রয়টার্স

করোনার ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীদের ভিড়ে চাপে রয়েছে হাসপাতালগুলো। কবরস্থানগুলোয় দেখা গেছে মরদেহের সারি। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, চীনে করোনার এত সংক্রমণ আগে কখনো দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

২০২০ সাল থেকে ‘শূন্য করোনা নীতির’ আওতায় চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি ওই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন দেশটির অনেক শহরের বাসিন্দারা। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। তার পর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, চীনে বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে ডব্লিউএইচও খুবই উদ্বিগ্ন। ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের করোনার টিকা দেওয়ায় চীনকে সহায়তা করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া দেশটির জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়ে যাবে ডব্লিউএইচও।

চীনে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২৪১ জনের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির জনসংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুর এই পরিমাণ বিভিন্ন দেশের তুলনায় অনেক কম। এমনকি কবরস্থানে মরদেহের সারি দেখা গেলেও গত মঙ্গল ও বুধবার নতুন করে করোনায় কেউ মারা যাননি বলে জানিয়েছে চীন সরকার।

তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির চলতি সপ্তাহে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সাংহাই শহরের ডেজি হাসপাতাল বুধবার জানিয়েছে, তাদের ধারণা, এ মুহূর্তে শহরটির ৫৪ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা করোনা পজিটিভ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে হবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ।