জাপানে ইতিহাস গড়ে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তাকাইচি
সানায়ে তাকাইচি জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে জাপানের শাসক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এই নারী প্রার্থী নিম্ন ও উচ্চ—দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। তিনি নিম্নকক্ষে ২৩৭ ও উচ্চকক্ষে ১২৫ ভোট পেয়েছেন।
জাপানের ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে পরিচিত তাকাইচি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী এবং তাঁর মতোই দৃঢ় রক্ষণশীল ভাবধারার রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত।
জাপানে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। তাই এ জয়কে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে তাকাইচি জাপানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। তিনি এমন এক সময় ক্ষমতায় এলেন, যখন এলডিপি রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। তাদের জনসমর্থনও বেশ কমে যাচ্ছে।
ঠিক এমন এক সময়ে তাকাইচির জয় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জাপান এখনো লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।
তবে জাপানি তরুণীদের অনেকেই বিবিসিকে বলেছেন, তাঁরা নিশ্চিত নন যে রক্ষণশীল তাকাইচি নারীর অধিকারকে এগিয়ে নেবেন কি না। তাঁদের একজন বলেন, তাকাইচির রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজে দেখলে দেখা যায়, তিনি বরং পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই টিকিয়ে রাখতে চান।
চলতি মাসের শুরুতে তাকাইচি ক্ষমতাসীন দল এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন। তবে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে পড়লে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। এর পর থেকে এলডিপি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, যা তাকাইচির প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্ভাবনাকে আবারও জোরদার করে তুলেছে। এলডিপি তাকাইচিকে জোট গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে।
অবশেষে আজ ভোটাভুটিতে তাকাইচি জাপানের দুই কক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন।