সীমান্তে উত্তর কোরীয় সেনা, গুলি ছুড়ে সতর্ক করল দক্ষিণ কোরিয়া

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছেরয়টার্স ফাইল ছবি

উত্তর কোরিয়ার সেনারা ভুল করে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁদের দেখে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা সতর্কতামূলক গুলি ছোড়েন। গত রোববার উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক এলাকায় (ডিমিলিটারাইজড জোন–ডিএমজেড) এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এসব কথা জানিয়েছে।

দুই কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল।

সিউলের সেনাবাহিনী বলছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ছোট একটি দল কিছু খননযন্ত্র নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় ঢুকে পড়েন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেদের সীমানায় ফিরে যান।

আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, রোববারের ঘটনার পর ডিএমজেড এলাকায় এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সেনাদের গতিবিধি দেখা যায়নি।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁরা আরও বলেন, ‘(সীমান্ত এলাকার) ভেতরে বড় বড় গাছপালা থাকায় সীমানা চিহ্নগুলো আড়ালে ঢাকা পড়েছে। সেখানে কোনো পথ নেই এবং তাঁরা (উত্তর কোরিয়ার সেনা) অমন গাছপালার মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।’

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত শহরগুলো লক্ষ্য করে আবর্জনা ভর্তি শত শত বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে লাউডস্পিকারে কে-পপ সংগীত বাজানোর পাশাপাশি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে সিউল। উত্তর কোরিয়ায় প্রোপাগান্ডা ছড়াতে বেলুনও পাঠিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাকটিভিস্টরা।

গতকাল সোমবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। লাউডস্পিকার বাজানো ও বেলুন পাঠানো বন্ধ না করলে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার সব প্রচেষ্টা বন্ধ করে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, উত্তর কোরিয়ার প্রতি ‘বৈরী’ আচরণ করছে সিউল।

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালে হওয়া একটি সামরিক চুক্তি বাতিল করে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে মহড়া শুরু করা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সীমান্ত এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানোর সুযোগ তৈরি হয়।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপণের পর গত নভেম্বরে আংশিকভাবে চুক্তি স্থগিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।