১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইনস ডে, বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ভালোবাসা দিবস। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধুবান্ধব, স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা–সন্তান, ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষেরা এদিন একে অন্যকে তাঁদের ভালোবাসা জানান। এ দিবসে নিজের মনের কথা বলতে ও প্রেয়সীর পাশে থাকতে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ হাঁটছেন থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তি।
স্ট্রেট টাইমস ও দ্য নেশন থাইল্যান্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুথেপ মাউই প্রমজিতের বাড়ি থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের নাখোন নাইওক এলাকায়। আর তাঁর প্রেমিকা থানাপা খিয়াও অনের বাড়ি সাতুন এলাকায়। গত ১৪ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে প্রেমিকার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন সুথেপ মাউই। ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারের এ পথ গাড়ি চালিয়ে গেলে ১৬ ঘণ্টা সময়ের দরকার। আর একটানা হাঁটলে প্রায় ২০০ ঘণ্টা। গত শনিবার বিকেলে সুথেপ মাউই ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বন্ধু নিভাতকে নিয়ে থংউইথির ট্রাংয়ে পৌঁছান। গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ১০০ কিলোমিটার পথ বাকি। ১০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে প্রেমিকাকে প্রস্তাব দেবেন।
সুথেপ মাউই জানান, আজ মঙ্গলবারের মধ্যে সাতুনের থুং ওয়া জেলায় প্রেমিকা থানাপার বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। টিকটকের মাধ্যমে পাঁচ বছর আগে পরিচয় হয় তাঁদের। দুজনেরই বয়স ৫৬ বছর। বিয়ে হলে প্রেমিকা থানাপাকে নিয়ে থাইল্যান্ড ঘুরে বেড়াতে চান তিনি।
কেন হেঁটে আসছেন, তা–ও জানান সুথেপ মাউই। তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁরা পরিবার ও প্রিয় মানুষদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, যাঁরা স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত নন, আমার এ যাত্রা তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।’
এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ১৭ কেজিরও বেশি ওজন কমেছে সুথেপের। এখন তাঁর ওজন ৪০ কেজি। এরপরও খুশি তিনি। কারণ, হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ায় এটাই প্রমাণ করে যে তিনি প্রেমিকা থানাপাকে কতটা ভালোবাসেন।