‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সামর্থ্য আছে ইরানের’

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারিগরি সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র তৈরির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গত রোববার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খারাজি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির

কামাল খারাজি বর্তমানে ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। সম্প্রতি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালাতে সক্ষম এমন একটি মহড়া চালিয়েছে ইরান। তিনি বলেন, ‘ইরানের স্পর্শকাতর স্থাপনাকে লক্ষ্য করলে’ তারাও পাল্টা হামলা চালাবে।

গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। সৌদি আরবের জেদ্দায় গত শনিবার অনুষ্ঠিত মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের সঙ্গে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেন বাইডেন। এ সময় আরব নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরি নিযুক্ত থাকবে এবং এখানে অন্য বিশ্বশক্তিকে প্রভাব বিস্তার করতে দেবে না। বাইডেনের এমন বক্তব্যকে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বলে দাবি করেছে ইরান।

এ অঞ্চলে ইরানের ছড়ি ঘোরানো পছন্দ নয় ওয়াশিংটনের। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেনের সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইরানকে ‘পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন’ থেকে বিরত রাখার গুরুত্বের বিষয়ে একমত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) চলতি মাসের শুরুতে বলেছিল, জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টে তৎপরতা জোরদার করেছে ইরান। সংস্থাটির দাবি, পারমাণবিক প্ল্যান্ট সমৃদ্ধকরণের কৌশলগত সফলতার একটি অংশ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারে ইরান।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইরান বলেছিল, তারা সেই ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে সম্মত হওয়া ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের অনেক বেশি। পরে ইরান দাবি করেছিল, তারা একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে তা সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের চেয়ে কম।