চীনের নিজ স্বার্থ রক্ষার কৌশল মিয়ানমারে কেন ব্যর্থ হচ্ছে

মিয়ানমার–বিষয়ক বিশ্লেষক থেট তার মং ২ এপ্রিল সে দেশের দ্য ইরাবতী পত্রিকার অনলাইন সংষ্করণে দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। এতে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার সঙ্গে জাতিগত বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে চীনের ভূমিকার কথা উঠে এসেছে।

গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য পেয়েছেছবি: এএফপি

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিরোধ লড়াইয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করেছিল চীন সরকার। এখন পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যেও একই কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ রাজ্যে অবশ্য চীনের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বার্থ রয়েছে।

চীনের কুনমিংয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। চীনের সঙ্গে আলোচনায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। তবে এ যুদ্ধবিরতি কেবল চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে বলবৎ হয়েছে।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছে।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিরোধ লড়াইয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করেছিল চীন সরকার।
ব্লার্ব: কপার ও নিকেলের খনি, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ মিয়ানমারে বিভিন্ন খাতে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বাণিজ্য হয় ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

গত বছরের অক্টোবরে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স শান রাজ্যে জান্তাবিরোধী অপারেশন ১০২৭ শুরু করার পরই চীনের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে তারা দ্রুতই খুব চাপের মধ্যে পড়ে যায়।

কপার ও নিকেলের খনি, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ মিয়ানমারে বিভিন্ন খাতে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বাণিজ্য হয় ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। অধিকন্তু চীনের সীমান্তবর্তী শহর রুইলি থেকে মিয়ামারের শান রাজ্য, মান্দালে ও ম্যাগউই অঞ্চল হয়ে রাখাইন রাজ্য পর্যন্ত বেইজিংয়ের তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন রয়েছে।

তেল-গ্যাস সরবরাহে কোনো বিপর্যয় নেমে এলে তা চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে স্থলবেষ্টিত ইউনান প্রদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ফলে জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বেইজিং প্রকাশ্যে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অভিযানে হস্তক্ষেপ করেছে। এ জোটের ওপর অবশ্য চীনের বেশ প্রভাবও রয়েছে।

বেইজিং রাখাইন ও উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করতে গিয়ে যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে মিয়ানমারে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। কেবল নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে চীন মিয়ানমারের প্রকৃত পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাচ্ছে।

শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতি

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মির এক বিদ্রোহী
ছবি: রয়টার্স

চীনের মধ্যস্থতায় গত জানুয়ারিতে দুই পক্ষ শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তারা সম্মত হয়, তাদের সৈন্যরা আর প্রতিপক্ষের দিকে অগ্রসর হবে না। শান রাজ্যে জান্তা সরকারের আর কোনো ফাঁড়ি বা শহর দখল করবে না বলেও বিদ্রোহী জোট সম্মত হয়েছে। একইভাবে জান্তা সরকার ওই এলাকায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ বন্ধে রাজি হয়েছে।

জোটের দখল করা চিন শউই হাউ শহর দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য আবার শুরু করতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে। সর্বশেষ গত মার্চে তিন পক্ষের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ পথে ব্যবসা-বাণিজ্যে যে রাজস্ব আদায় হবে, সেই রাজস্ব সামরিক জান্তা ও এমএনডিএএ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে যথাক্রমে ৩০ ও ৭০ শতাংশের ভিত্তিতে ভাগ হবে।

ব্যবসা-বাণিজ্যে কম হিস্যার বিষয়টি সামরিক জান্তা মেনে নিয়েছে। কারণ, তারা শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে চায় এবং চীনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়। এ চুক্তির আওতায় সামরিক জান্তা তাদের সৈন্য ও প্রশাসনিক বিভাগগুলোকে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মিউজে রাখার সুযোগ পেয়েছে। একই সঙ্গে চিন শউই হাউ শহরে তাদের জন্য কাস্টমস ও সীমান্ত বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মিয়ানমারের লাশিয়োতে অবস্থিত উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তরে হামলার ঠিক আগে আগে সামরিক জান্তা যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মনোবল হারানো সৈন্যদের পুনর্গঠিত করা ও নতুন সৈন্য নিয়োগ দিতে সময়ক্ষেপণের জন্য তাদের এ সময়ের দরকার ছিল।

চীন বারবার ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সকে হুমকি দিচ্ছিল, যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে জোটকে সীমান্ত দিয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও জ্বালানি আমদানি করতে দেওয়া হবে না। সামরিক জান্তার অবরোধের কারণে ইতিমধ্যে ব্রাদারহুডের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বেইজিং যদি আবার অবরোধ দেয়, তাহলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সুতরাং চীনের কথা শোনা ছাড়া ব্রাদারহুড জোটের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।

এ অবস্থায় সামরিক জান্তাকে উৎখাতের লড়াইয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এমএনডিএএ এবং টিএনএলএকে কিছুটা নরম অবস্থায় যেতে হয়েছে। তাদের সামরিক জান্তার প্রতি গলার স্বর নামাতে হয়েছে।

জান্তার অবস্থান

ব্রাদারহুড জোটের বিভিন্ন অঞ্চল দখল ও তাদের সঙ্গে কাস্টমস থেকে আদায় করা রাজস্ব ভাগাভাগির সমঝোতাকে সামরিক জান্তার সমর্থকেরা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অপমান বলে মনে করে। এরপরও সামরিক জান্তা সবকিছু হজম করেছে। চীনের সিদ্ধান্তকে মেনে চলতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সামরিক জান্তা সিপাউ-লাশিও সড়কে পণ্যবাহী কার্গো চলাচল চালু করতে সম্প্রতি সীমান্ত বাণিজ্য ও শুল্ক কর্মকর্তাদের চিন শউই হাউ শহরে পাঠিয়েছে।

সামরিক সরকার ইতিমধ্যে মিউজ, লাশিও, তানিয়াং, সিপাউ ও কিয়াউকমি শহর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করেছে। কিছু সেনাকে কারেনি (কায়াহ) রাজ্য, শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী পিনলাউং শহর, সাগাইং ও রাখাইনে মোতায়েন করেছে।

মিয়ানমার জান্তার উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এবং প্রথম ও ১৬তম মিলিটারি অপারেশন কমান্ডের সমন্বয়ে অল্পসংখ্যক সেনাকে লাশিওতে রাখা হয়েছে। তবে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের বিদ্রোহীরা নতুন করে হামলা শুরু করলে এই সেনারা সেটা প্রতিরোধ করতে পারবেন না। আসল বিষয় হচ্ছে, বেইজিং থেকে তাঁরা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছেন যে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে হামলা চালাবে না। এ জন্যই বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শান রাজ্য থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অপারেশন ১০২৭, রাখাইনে লড়াই ও চীন

গত বছরের নভেম্বরে আরাকান আর্মি (এএ) জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর রাখাইন রাজ্যে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যে এএ বিদ্রোহীরা রামরিসহ বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকফিউ শহরের পাশের এই রামরি শহর থেকে চীনের গ্যাস ও তেলের পাইপলাইন অন্যান্য অঞ্চলে চলে গেছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হিসেবে চীন কিয়াউকফিউ শহরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে।

এএ বিদ্রোহীরা মাদায় দ্বীপের কাছে দানিয়াবতী নৌঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তখন সেখানে তেলবাহী ট্যাংকার নোঙর করা ছিল।

গত জানুয়ারিতে শান রাজ্যে সীমিত পরিমাণে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। তবে রাখাইন রাজ্যের চলমান অভিযানে এই চুক্তির কোনো প্রভাব পড়েনি। চীন রাখাইনে এএর ওপর কঠোর চাপ দিতে পারছে না। কারণ, রাখাইনের সঙ্গে চীনের কোনো সীমান্ত নেই। এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রয়েছে। দুটি দেশই এএর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

সীমান্তের সূত্রগুলো বলছে, চীন রাখাইনে যুদ্ধবিরতির জন্য এএ-কে কোনো ধরনের জবরদস্তি করছে না। বরং চীন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বন্ধ করতে বলছে। এখানে এএ বিদ্রোহীদের কোনো ধরনের জবরদস্তি না করার পেছনে রয়েছে কিয়াউকফিউ শহরে চীনের স্বার্থ।

সীমান্তের সূত্রগুলো বলছে, এএ বিদ্রোহীরা গত ১৭ মার্চ রাথেডং শহর দখলের পর এই গোষ্ঠীর নেতাদের চীন আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

সামরিক জান্তা শুধু রাখাইন নয়, মিয়ানমারের সব রাজ্যে লড়াই বন্ধ করতে চাচ্ছে, যাতে তারা মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ প্রশমিত করতে পারে। রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেলে কাচিন ও কারেন রাজ্যে বিদ্রোহীদের দমনে আরও সৈন্য মোতায়েন করতে পারবে জান্তা সরকার।

রাখাইনে এএ বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শহরগুলোতে বোমা ও গোলাবর্ষণ করছে জান্তা সরকার। তারা হামলা চালিয়ে যাওয়ার একটি বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে, উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে এমএনডিএএ এবং টিএনএলএ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মতো এএ গোষ্ঠী যাতে এ অঞ্চলে কোনো প্রশাসনিক কাঠামো দাঁড় করাতে না পারে।

এএ বিদ্রোহীদের ওপর জোরজবরদস্তি খাটাতে ব্যর্থ হয়ে চীন যুদ্ধ বন্ধ করতে হয়তো তাদের বিশেষ প্রণোদনার লোভ দেখাতে পারে। যেমন তেল ও গ্যাসের লাইন থেকে চীনের লাভের একটি অংশ এএ-কে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে। চীন এমন কিছু করলে সামরিক জান্তা বাধা দেবে বলে মনে হয় না। কারণ, ইতিমধ্যে এমএনডিএএ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তারা সীমান্ত বাণিজ্য থেকে আসা রাজস্বের ৭০ শতাংশ দিয়ে বসে আছে। আসলে জান্তা সরকার এখন নিঃশ্বাস ফেলানোর জায়গা খুঁজছে।

রাখাইনে কি যুদ্ধবিরতি

এএ নেতারা চীনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সম্প্রতি রাখাইনে ফিরে এসেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাখাইনে লড়াই বন্ধ করতে চীন কি এএ নেতাদের বোঝাতে পেরেছে? ২০১৮ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম রাখাইনে এএ বিদ্রোহীরা অভূতপূর্ব সামরিক সাফল্য পেয়েছে।

গত ২৫ মার্চ রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী যখন দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে একমাত্র তাদের সেনাবাহিনী থাকবে, তখন যুদ্ধ নতুন এক মাত্রা পেয়েছে। মঙ্গডু, বুথিডং, অ্যান ও রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ে জান্তার সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই চলছে।

সামরিক জান্তা সরকার ও তাদের সেনাদের মনোবল ধরে রাখতে বেইজিংয়ের চেষ্টা ধীরে ধীরে হতাশায় রূপ নিচ্ছে। কারণ, কাচিন, দক্ষিণ শান, চিন, কারেনি ও কারেন রাজ্য এবং সাগাইং, মাগউই, বাগো, তানিথারি, ইয়াঙ্গুন অঞ্চলসহ পুরো মিয়ানমারে লড়াই ছড়িয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে সামরিক জান্তা চরম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। দেশজুড়ে বিদ্রোহ তীব্র হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে বেইজিং রাখাইন ও উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে তাদের বিনিয়োগ রক্ষা করতে গিয়ে যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে মিয়ানমারে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। কেবল নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে চীন মিয়ানমারের প্রকৃত পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, এ পরিস্থিতি থেকে তারা সরে আসবে না।

অধিকন্তু সংলাপ ও নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক চুক্তি ছাড়া জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়।