সিডনিতে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে পাঁচ শতাধিক গ্রেপ্তার

ঘরোয়া ও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ থাকায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশছবি: নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের সৌজন্যে

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য থেকে ৫৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘরোয়া ও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত চলা ‘অপারেশন অ্যামারক ৬’–এর আওতায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ২২৬ জন মারাত্মক নির্যাতনকারী। পুলিশ তাঁদের আগে থেকেই খুঁজছিল। পুলিশের কাছে থাকা এক হাজারের বেশি অভিযোগের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পারিবারিক সহিংসতা, বিশেষত নারীদের প্রতি নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই অস্ট্রেলিয়া উত্তাল। দেশটির বিভিন্ন স্থানে পারিবারিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতন রোধে আন্দোলন চলছে। এমনকি গত এপ্রিলে দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় এমন একটি আন্দোলনে অংশ নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।

গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ১১ দিনে একজন নারী এবং ৯১ দিনে একজন পুরুষ পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে চলতি বছরে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

হঠাৎ এই গণগ্রেপ্তার শুরু হওয়ার আগে ২৮ বছরের এক নারীকে হত্যার ঘটনা ঘটে। তাঁর সাবেক পুরুষ সঙ্গী নির্যাতনের অপরাধে কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকে জামিনে বের হয়ে এ হত্যাকাণ্ড চালান তিনি।

ওই ঘটনার পর পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে বিচারাধীন ব্যক্তিদের জামিন প্রসঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসেন সিডনির মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস মিনস। তিনি এ ধরনের আসামিদের জামিন দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠোর করার প্রস্তাব দেন। জামিনের শর্ত হিসেবে সমাজের জন্য বিপজ্জনক নয়, প্রমাণ দেওয়ার কথাও বলা হয় প্রস্তাবিত আইনে।

সাম্প্রতিক এ হত্যাকাণ্ড, আন্দোলন ও সিডনির বন্ডায় নারীদের ওপর ছুরি হামলা গণগ্রেপ্তারের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন দেশটির বিশ্লেষকেরা। এ নিয়ে দেশটির পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম মন্ত্রী ইয়াসমিন ক্যাটলি বলেন, ‘গত বছর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য আমাদের কাছে দেড় লাখের মতো ফোনকল এসেছে। এতে বিষয়টি কতটা গুরুতর রূপ নিয়েছে, তা বোঝা যায়। তবে আমরা এ বিষয়ে প্রচুর পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছি এবং শিগগিরই আরও কঠোর পদক্ষেপ আসছে।’