ফিরে দেখা
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
১৯৭৮ সালের ২৭ এপ্রিল সকাল। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে উনিশ শতকে নির্মিত আর্গ-ই-শাহি প্রাসাদে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন প্রেসিডেন্ট সরদার মুহাম্মদ দাউদ খান। এমন সময় উদ্ধত একদল সেনা ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে এল রাজপ্রাসাদে। খুন হলেন আফগানিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট। দাউদ খানের পরিবারের ১৮ সদস্যকেও সেদিন হত্যা করে ঘাতকেরা।
অভ্যুত্থানের ৩০ বছর পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে দাউদ খানের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছিল। কাবুলের পূর্বাঞ্চলীয় উপকণ্ঠে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ছয় মাস ধরে খননের পর দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছিল আফগান সরকারের একটি কমিশন। সেই গণকবরে দাউদ খানের মরদেহ শনাক্ত করেছিল তারা। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাঁর মরদেহ আবার দাফন করা হয়।
১৯৭৮ সালের সেই নৃশংস ঘটনার প্রায় ৫ বছর আগে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন সরদার দাউদ খান। অভ্যুত্থানের পর নিজেকে প্রেসিডেন্ট আর আফগানিস্তানকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে দুররানি পরিবারের ২০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছিল।
‘টোয়েন্টি ফোর আওয়ারস দ্যাট শক আফগানিস্তান’ বইয়ে আফগান সাংবাদিক ও লেখক দাউদ জানবিশ লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থানকারীরা যে কাবুলের পথে আছেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সে সম্পর্কে কিছু জানতেন না দাউদ খান ও তাঁর মন্ত্রীরা। ঠিক এমন সময় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢোকেন তাঁর এক দেহরক্ষী। ঢুকেই দাউদ খানকে বলেন, ট্যাংক নিয়ে একদল সেনার প্রাসাদ অভিমুখে আসার বিষয়ে কিছু জানেন কি না। দেহরক্ষীর মুখে দাউদ খান অভ্যুত্থান সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন।
কিন্তু ততক্ষণে অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে। ততক্ষণে প্রাসাদের দোরগোড়ায় এসে গেছে ঘাতক দল। প্রাসাদে ঢুকে বেপরোয়া সেনাদল দাউদ খান এবং তাঁর পরিবারের দেড় ডজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পতন ঘটে দাউদ খানের সরকারের।
রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে দাউদ খানের সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন সোভিয়েতপন্থী মার্ক্সবাদী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানের (পিডিপিএ) প্রধান নুর মোহাম্মদ তারাকি। সফল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তারাকির নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী পরিষদ।
পিডিপিএ সরকার গঠনের ১৭ মাসের মাথায় আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে সেই দেশে যে সংঘাত বা গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিল, ৪৬ বছর পর এখনো তার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে আফগানদের।
অভ্যুত্থানের নেপথ্য কারণ
দাউদ জানবিশ তাঁর বইয়ে আরও লিখেছেন, সে সময় পিডিপিএর বিরুদ্ধে ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছিল দাউদ খান সরকার। অভিযান-পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন, তা জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল কাদিরকে প্রাসাদে ডেকেছিলেন প্রেসিডেন্ট দাউদ খান।
দাউদ খানের সরকার পিডিপিএর প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে আটক করেছে তত দিনে। পিডিপিএর এক নেতা গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি এই অভিযান শুরু হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী কাবুলে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন মির আকবর খাইবার নামের পিডিপিএর ওই নেতা।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে দাউদ খান যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপেক্ষায়, ঠিক তখন প্রাসাদ থেকে চার কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক বালা হিসার ফোর্টে ছিলেন সোভিয়েত-প্রশিক্ষিত বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ তানাই। এ সময় দাউদ খানের সরকারকে উৎখাতের গোপন নির্দেশ আসে শাহনেওয়াজ তানাইয়ের কাছে।
সেই দিনটির স্মৃতিচারণা করে এর চার দশকের বেশি সময় পর শাহনেওয়াজ তানাই বলেছিলেন, আকবর খাইবার হত্যার ঘটনায় সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য এমন নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন পিডিপিএর কারাবন্দী নেতা হাফিজুল্লাহ আমিন।
শাহনেওয়াজ তানাই বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি তখনো ছিল না। বলতে গেলে নেতাদের আটকের মাধ্যমে সরকার পিডিপিএর বিরুদ্ধে যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ওপর অভ্যুত্থান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
শাহনেওয়াজের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন বিরোধী অংশের নেতা ৮৯ বছরের সুলাইমান লায়েক। ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে পুল-ই চারখিতে আমিন ও পিডিপিএর শীর্ষ নেতা নুর মোহাম্মদ তারাকির সঙ্গে তিনিও বন্দী ছিলেন।
সুলাইমান লায়েক বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল। দলের সদস্যদের অভ্যুত্থানকে অবধারিত মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। যদিও অভ্যুত্থানের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মাত্র একজন ব্যক্তি (হাফিজুল্লাহ আমিন)।
কাবুলের অদূরে কুখ্যাত কারাগার পুল-ই চারখির আশপাশে মোতায়েন আমিনের অনুগত সেনারাই মূলত এ অভ্যুত্থান করে। দুই তরুণ সেনা কর্মকর্তা আসলাম ওয়ানতাজার এবং মোহাম্মদ রাফি সাঁজোয়া বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। আকাশপথে তাঁদের সহযোগিতা করে আফগানিস্তানের বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা আবদুল কাদির।
দাউদ খানের উত্থান-পতন
আফগানিস্তান ও ফ্রান্সে পড়াশোনা করা দাউদ খান ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য। আফগানিস্তানের সর্বশেষ রাজা জহির শাহ ছিলেন একই সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই ও ভগ্নিপতি। পড়াশোনা শেষে আফগান সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন দাউদ খান। তিনি একটি সেনা কোরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়ার পর ১৯৪৬ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান দাউদ খান। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পর ১৯৫৩ সালে হন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৩ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দাউদ খান।
‘পশতুনিস্তান’ নামে একটি রাষ্ট্র গঠনের সমর্থক ছিলেন দাউদ খান। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের পশতুভাষী–অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়েই হবে পশতুনিস্তান। এ কারণে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেই যার খেসারত দিতে হয়েছিল দাউদ খানকে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেও দাউদ খান রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু ১৯৬৪ সালে আফগানিস্তানে নতুন একটি সংবিধান গৃহীত হলে তাঁর রাজনীতি করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। নতুন সংবিধান অনুযায়ী, রাজপরিবার থেকে কেউ-ই আফগানিস্তানের রাজনীতিতে কোনো পদে আসীন হতে পারবেন না।
১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সর্বশেষ আফগান রাজা চাচাতো ভাই মোহাম্মদ জহির শাহকে উৎখাত করেন প্রধানমন্ত্রী দাউদ খান। কী কারণে দাউদ খান এই অভ্যুত্থান করেছিলেন, তা তর্কসাপেক্ষ। তবে সে সময় দাউদ খান ও তাঁর মিত্রদের হয়তো ন্যূনতম ধারণা ছিল না যে তাঁরা এমন এক একটা ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছেন, দ্রুতই যার নিয়ন্ত্রণ হারাবেন তাঁরা। অদূরদর্শিতার কারণেই সপরিবার ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিতে হয় দাউদ খানকে।
৩০ বছর পর মরদেহ শনাক্ত
হত্যার পর ঘাতকেরা গোপনে দাউদ খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গণকবর দিয়েছিল। এ কারণে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়নি। তবে অভ্যুত্থানের ৩০ বছর পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে কাবুলের অদূরে দুটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে সেখান থেকে দাউদ খানের মরদেহ তুলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
গণকবর শনাক্তে সাহায্য করেছিলেন আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর সাবেক এক জেনারেল, যিনি সেদিন গোপনে দাউদ খানকে সমাহিত করার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে গণকবর দুটি খনন শুরু হয়। পরে দেখা যায়, সেখানে দাউদ খান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দাউদ খানের মরদেহ শনাক্ত করেছে তারা। এরপর ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কাবুলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দাউদ খানের মরদেহ আবারও সমাহিত করা হয়।
দাউদ খানের জানাজায় হাজির ছিলেন আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, বিরোধীদলীয় নেতা ও দাউদ খানের পরিবারের অন্য সদস্যরা। পূর্বসূরি দাউদ খানের মরদেহ শনাক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হামিদ কারজাই। দুই বছরের চেষ্টায় মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
কেমন শাসক ছিলেন দাউদ খান
দাউদ খানের সরকারকে উৎখাত করার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া পিডিপিএ নেতা হাফিজুল্লাহ আমিন অবশ্য একে অভ্যুত্থান নয়, বরং ‘গণবিপ্লব’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত বিপ্লবী আফগান সরকারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অভ্যুত্থানের দুই মাস পর ১৯৭৮ সালে নিউইয়র্কে এক সাক্ষাৎকারে হাফিজুল্লাহ আমিন বলেন, অভ্যুত্থান নয়, এটা ছিল গণবিপ্লব। দাউদ খানের বিরুদ্ধে জন-অসন্তোষ থেকে এই গণবিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
ন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্ট অব আফগানিস্তানের প্রধান সৈয়দ ইসহাক গালিয়ানির মতে, ‘দাউদ খান একচেটিয়া শাসন কায়েম করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে অভ্যুত্থানে ছিলেন—এমন ব্যক্তিদের মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য, তাঁরা পাননি। কম যোগ্য মানুষকে বড় পদে বসিয়ে তিনি নিজে অভ্যুত্থানের মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। আর জীবন দিয়ে এর মূল্য চোকাতে হয়েছে দাউদ খানকে।’
বিরোধীরা দাউদ খানকে একজন কর্তৃত্ববাদী শাসক মনে করেন, যিনি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে আফগানিস্তানে শুরু গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত করেছিলেন।
১৯৬৪ সালের সংবিধানের মাধ্যমে রাজা জহির শাহ আফগানিস্তানকে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৬৫ ও ১৯৬৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছিল। পরপর দুই দফায় দেশটিতে নির্বাচিত পার্লামেন্টের অধীন সরকারে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন প্রধানমন্ত্রী, যাঁরা রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন না। পুরোপুরি না হলেও ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক এক পরিবেশের দিকে যাচ্ছিল আফগানিস্তান। পুরো অঞ্চলের বেশির ভাগ দেশে যখন কর্তৃত্ববাদী শাসকদের জয়জয়কার, তখন আফগানিস্তানে এ ঘটনা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
এসব কারণে গুলাম নবী মোহাম্মদির মতো ইতিহাসবিদেরা দাউদ খানের অভ্যুত্থানের পেছনে ক্ষমতা দখলের মতলবকেই বড় করে দেখেন। দাউদ খানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়কালের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক দল ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের বিরোধী ছিলেন দাউদ খান।’
তবে দাউদ খানের সমর্থকদের মত ভিন্ন। তাঁদের মতে, দাউদ খান ছিলেন জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ একজন নেতা, যিনি আফগানিস্তানকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাঁর মূল চাওয়া ছিল গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান।
ইতিহাসবিদ হাবিবুল্লাহ রাফির মতে, দাউদ খান আফগানিস্তানকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছিলেন বৈচিত্র্যপূর্ণ আফগান সমাজে রাষ্ট্রক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করাই লক্ষ্য থেকে। তাঁর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো বিক্ষোভ বা জন-অসন্তোষ তৈরি না হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে তাঁর প্রতি সমাজের বড় একটা অংশের সমর্থন ছিল।
হাবিবুল্লাহ রাফির মতে, দাউদ খান এমন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন, যেখানে প্রত্যেকের ক্ষমতায়ন হবে। আফগানিস্তানে ধীরে ধীরে এমন এক গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে জনগণ তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে পারবেন। একই সঙ্গে দেশের জনগণের চাওয়া অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, কারও একক ইচ্ছায় নয়।