সৌদি সরকারের সমালোচনা করে টুইট করায় মার্কিন নাগরিকের কারাদণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

টুইটার
প্রতীকী ছবি

সৌদি আরব সরকারের সমালোচনা করে টুইট করার অভিযোগে সৌদি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিকের ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব। গত বছর দেশটিতে ফেরার সময় বিমানবন্দরেই তাঁকে আটক করা হয়েছিল। চলতি মাসের ৩ তারিখে তাঁকে এ সাজা দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।  

এদিকে কারাবন্দী আমেরিকান নাগরিকের বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবারের ওই আলোচনার ফলে দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে আবারও উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন নাগরিক সাদ ইব্রাহিম আলমাদির আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ওই ব্যক্তির বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করেছে। আলমাদির ছেলে ইব্রাহিম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তাঁর বাবা টুইটারে সৌদি সরকারের সমালোচনা করে টুইট করেছেন। এ জন্য তাঁকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রিয়াদ এবং ওয়াশিংটনে উভয় চ্যানেলের মাধ্যমে সৌদি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কথা বলেছি। আমরা ওই মামলার বিষয়ে ধারাবাহিক এবং নিবিড়ভাবে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কখনোই অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আলমাদি ফ্লোরিডার বাসিন্দা। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর ১৪টি টুইটে সৌদি আরব সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে—এমন অভিযোগে গত নভেম্বরে বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করা হয়েছিল।

তাঁর ছেলে ইব্রাহিমের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ৭২ বছর বয়সী আলমাদিকে ৩ অক্টোবর ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব। কারাদণ্ড ভোগের পর তাঁর ওপর আরও ১৬ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।

আলমাদির ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সৌদি আরবের দুর্নীতি এবং কলামিস্ট জামাল খাসোগির হত্যার সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন।