শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের হয় কাজ করতে হবে, নয়তো বাড়িতে যেতে হবে।

গতকাল রোববার দেশটির অনুরাধাপুরা শহরে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভায় রনিল বিক্রমাসিংহে এ কথা বলেন। কলম্বো গেজেটের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। তা নাহলে তাঁদের বাড়িতে চলে যেতে হবে। কাজ না করে বেতন পাওয়ার আশা করা যাবে না।

জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভায় দেশটির ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি), শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি), শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) সংসদ সদস্যরা অংশ নেন।

রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, তিনি সমগি জনা বালাওয়েগয়া, জনতা বিমুক্তি পেরামুনাসহ দেশটির সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

সভায় এসএলএফপির সংসদ সদস্য ডুমিন্ডা দেশানায়েকে বলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চূড়ান্ত সুযোগ এখন প্রেসিডেন্টের সামনে রয়েছে। দেশের সংকট মোকাবিলার চূড়ান্ত সুযোগ তাঁর কাছে রয়েছে।

ডুমিন্ডা দেশানায়েকে আরও বলেন, ২০১৫ সালেও একই রকম সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।

চরম অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে যান দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

পরদিন ১৪ জুলাই গোতাবায়া মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান। সিঙ্গাপুরে গিয়ে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র দেশে পাঠিয়ে দেন। ১৫ জুলাই তাঁর আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার।

গোতাবায়া ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। পরে তিনি পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।