পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী রানা তানভীর হুসেন সম্প্রতি লাহোরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাঁর বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় গত সোমবার দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন তিনি। রানা তানভীরের দাবি, কথাগুলো ‘মুখ ফসকে’ বলেছেন।
সম্প্রতি লাহোরের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি (জিসিইউ)-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন রানা তানভীর। সেখানে দেওয়া বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রানা ইকরারকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।
তাঁর দাবি, রানা উপাধির মানুষেরা ক্ষমতাসীন শ্রেণির। এমন উপাধির মানুষ হওয়ার পরও রানা ইকরার যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন, তা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করেন রানা তানভীর হুসেন। শিক্ষামন্ত্রীর নিজের উপাধিও রানা।
সমাবর্তনে দেওয়া ওই বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা হতে থাকে। এমন অবস্থায় গত সোমবার এক টুইটার পোস্টে রানা তানভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘গতকাল লাহোরের জিসি ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমার মুখ ফসকে কথা বেরিয়ে গিয়েছিল। আমি এর জন্য দুঃখিত। আমি আমার কথাগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছি।’
ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘উনি আমাদের শিক্ষামন্ত্রী রানা তানভীর হুসেন। এ মানুষটির ভাষা দেখুন আর বলুন যে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এমন বেহাল দশা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু আছে কি না। এমনকি সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও তিনি তা লুকোতে পারেননি। শিক্ষায় যে ঘাটতি আছে, তা একেবারে জ্বলজ্বল করছে।’
মন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশের পরও সমালোচনা চলছে। এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এটি মুখ ফসকে যাওয়ার বিষয় নয়। এটি আপনার স্বাভাবিক আচরণেরই নমুনা।’
টুইটার ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ মন্ত্রীর বক্তব্যকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন। আবার কেউ কেউ মত দিয়েছেন, এ ধরনের পদে থাকা ব্যক্তিদের আচরণে পেশাদারত্ব থাকা প্রয়োজন। তাঁদের আচরণ হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক।