দক্ষিণ কোরিয়ায় বিরোধী দলের বিপুল বিজয়

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দলের নেতা লি জে-মিয়াং নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থী বিরোধী দলের ভূমিধস বিজয় হয়েছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দলটি। ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে মিলে বিরোধী দল দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিকে) পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৯২টি আসন পেয়েছে।

এই ভোটকে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের জন্য মধ্যবর্তী গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি তিন বছর ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন।

এই নির্বাচনে পরাজয়ের পর ইউলের মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী হান ডা-সু ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হ্যান ডন-হুং পদত্যাগ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ইউন ও তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) জন্য এটি একটি বিপর্যয়কর পরাজয়। কারণ, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনসভায় বিভিন্ন আইন পাসের চেষ্টা করছে। কিন্তু ডিপিকের এই জয়ের মাধ্যমে দলটি দ্রুততার সঙ্গে তাদের কাঙ্ক্ষিত আইনগুলো পাস করে নেবে।

পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডিপিকে ও ক্ষমতাসীন পিপিপি উভয়েই নিজেদের প্রতি সমর্থন ভারী করতে ছোট ছোট দলকে তাদের সঙ্গে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে। তারা এসব দলকে কিছু আসন ছেড়ে দিয়েছে।

ডিপিকের নেতা লি জে-মিয়াং বলেছেন, ‘এটা শুধু ডেমোক্রেটিক পার্টির বিজয় নয়, এটা মানুষের একটা বড় বিজয়। উভয় পক্ষের রাজনীতিকদের এখন অবশ্যই তাঁদের শক্তি চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য কাজে লাগাতে হবে। মানুষের জীবনমানের উন্নতির জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টি সমাধান বের করার কাজে নেতৃত্ব দেবে।’

আজকের ফলাফল লি জে-মিয়াং উৎসাহিত করতে পারে। কারণ, তিনি ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইউনের কাছে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। এখন নতুন করে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে পারে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন একাধিক বিষয় নিয়ে চাপের মধ্যে আছেন। এর মধ্যে আছে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বয়স্ক মানুষদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও চিকিৎসকদের চলমান ধর্মঘট।

গত মাসে সিউলের একটি বিপণিবিতানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক আঁটি পেঁয়াজের কলির দাম ৮৭৫ ওন (শূন্য দশমিক ৬৫ ডলার) দেখে তাকে ‘যুক্তিযুক্ত’ বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

বিরোধী ডিপিকে দলটি পরে তাঁর এই মন্তব্যকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের আয়োজিত কৃষক সমাবেশে পেঁয়াজের কলি প্রদর্শন করা হয়।