প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ছেন কম্বোডিয়ার নেতা হুন সেন

হুন সেন ও তাঁর বড় ছেলে হুন মানেট
ছবি: এএফপি ও এপি

কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক হুন সেন আজ বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন। তাঁর বড় ছেলে হুন মানেটকে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ৭০ বছর বয়সী হুন সেন বলেন, ‘জনগণকে বোঝার জন্য বলছি, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করব না।’

গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) জয়ী হওয়ার পর হুন সেন এ ঘোষণা দিলেন। তবে এ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, দলীয় নিবন্ধনে ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ক্যান্ডললাইট পার্টিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব বলছে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। প্রধান বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। এতে মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন হয়নি।

হুন সেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নির্বাচনে এবার তাঁর দল জয়ী হলে নেতৃত্ব ছেলের হাতে ছেড়ে দেবেন।

হুন মানেট এখন দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রোববারের নির্বাচনে তিনিও প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন।

সাবেক খেমাররুজ নেতা হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কঠোর হাতে কম্বোডিয়ার শাসনক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। ক্ষমতার প্রায় চার দশকে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যেকোনো বিরোধী শক্তি বা বিরোধী দল নিষিদ্ধ করেছেন। তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছেন। জনগণের বাক্‌স্বাধীনতা হরণ করেছেন।

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হুন সেনের দল সিপিপি প্রায় ৮২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার মতো তিনিও পরিবারের মধ্য থেকে ক্ষমতার উত্তরাধিকার ঠিক করছেন বলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

হুন সেন অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও সরকার ও ক্ষমতায় তাঁর প্রভাব থাকবে। এ থেকে মনে হচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও দেশের নীতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না।