নেপালে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ

কাঠমান্ডুতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ছবি: রয়টার্স

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে জেন–জি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। আহত বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণেরা আজ কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা পেরিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের দমাতে তাঁদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে সংঘর্ষের প্রধান এলাকা বানেশ্বরসহ কাঠমান্ডুর বড় অংশজুড়ে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষে সাতজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাঠমান্ডুর ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক দ্বীপেন্দ্র পান্ডে। তিনি জানান, মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ আরও ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া আহত আরও ২০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: এএফপি

তিন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাঠমান্ডুর বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনীল অধিকারী। তিনি বলেছেন, আহত আরও ৫০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন, তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেজমি তাঁদের হাসপাতালে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হামলার মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গাড়ির পেছনে গিয়ে আশ্রয় নেন পুলিশ সদস্যরা। ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ছবি: রয়টার্স

এ ছাড়া কেএমসিতে একজন এবং ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে একজন করে বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কাঠমান্ডু ছাড়া অন্যান্য বড় শহরেও তরুণেরা আজ বিক্ষোভ করেছেন।