সামরিক কুচকাওয়াজে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল উত্তর কোরিয়া
সামরিক কুচকাওয়াজে নিজেদের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবারের এ কুচকাওয়াজে রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আজ শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা (কেসিএনএ) এ খবর জানিয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশটির নেতা কিম জং–উন বর্তমানে আরও বেশি সাহসী অবস্থান নিয়েছেন। মস্কোর বাহিনীর হয়ে লড়তে ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে হাজারো সেনা পাঠিয়েছেন তিনি। বিনিময়ে রাশিয়া থেকে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুচকাওয়াজে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং ভিয়েতনামের নেতা তো ল্যাম অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তাঁরা সবাই কিম জং–উনের কাছাকাছি আসনে বসেছিলেন।
রঙিন ঐতিহ্যবাহী পোশাকে হাজারো মানুষ রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় সার বেঁধে অনুষ্ঠানটি দেখেন। তাঁরা পতাকা নাড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। এ সময় একে একে দেশটির সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে। এসবের মধ্যে দূরপাল্লার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন উৎক্ষেপণযান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছিল অন্যতম।
সবচেয়ে আলোচিত অস্ত্র ছিল ‘হোয়াসং-২০’ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটির উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র’।
কিম জং–উন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, দেশের ‘অজেয় সেনাবাহিনী’ খারাপ সময় পাড়ি দিতে দলের সংগ্রামে সব সময় দ্বিগুণ শক্তি জুগিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে এগিয়ে গেছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, ‘বিদেশি যুদ্ধক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ন্যায়ের জন্য আমাদের বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ লড়াই এবং অর্জিত জয় আদর্শিক ও মানসিক উৎকর্ষের প্রমাণ।’ এখানে তিনি রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন যুদ্ধে নিজ দেশের সেনাদের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্যানুযায়ী, রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।