জাপানে মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মার্কিন মেরিন কোর এমভি-২২-এর সামরিক উড়োজাহাজের বহর। জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। ২৪ মার্চ, ২০১৮ফাইল ছবি : রয়টার্স

জাপানে এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দেশটিতে অবস্থান করা এক মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে। গত মার্চ মাসে তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়। মঙ্গলবার এ ঘটনা প্রথমবারের মতো সামনে আসে।

জাপানে প্রায় ৫৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই থাকেন দেশটির ওকিনাওয়া দ্বীপে। সেখানেই এই অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ওকিনাওয়াতে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষোভ উসকে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাপানে এর আগেও মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের ঘটনায় সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। সে বছর ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনজন মার্কিন সেনা। এর প্রতিবাদে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলেছিল।

সবশেষ যে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তার বয়স ১৬ বছরের কম। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মার্কিন সেনার বয়স ২৫ বছর। তিনি বিমানবাহিনীর সদস্য। গত ২৪ ডিসেম্বর তিনি ওই কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন। তার পরিবারের অভিযোগের পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত সেনাকে শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার ধর্ষণের এই ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করেন জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি। তিনি বলেন, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ওই সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর থেকে তিনি জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর হেফাজতে রয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা তদন্তকারীদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন জানিয়ে হায়াশি বলেন, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রহম ইমানুয়েলের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। আগামী ১২ জুলাই ধর্ষণের এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ধর্ষণের ঘটনার সময় ওই সেনা দায়িত্বে ছিলেন না। সে সময় তিনি একটি পার্কে ওই কিশোরীর দিকে এগিয়ে যান। তারপর কথা বলার জন্য তাকে নিজের গাড়িতে উঠতে বলেন। এরপর ওই কিশোরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডের বাইরে যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা রয়েছেন, জাপান সেগুলোর অন্যতম। জাপানে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজারই থাকেন ওকিনাওয়ার সামরিক ঘাঁটিতে। এই ঘাঁটিটি ওয়াশিংটনের জন্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কারণ, তাইওয়ান থেকে এটি তেমন দূরে নয়। তাই ভবিষ্যতে চীনের হুমকির মুখে তাইওয়ানে দ্বীপটি থেকে দ্রুত তৎপরতা চালাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।