অবাক করা চিবুক
অস্বাভাবিক লম্বা চিবুকের কারণে অনলাইনে দারুণ জনপ্রিয় জাপানের এক তরুণ। ইউটিউবে তাঁর অনুসারী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। তিনি এখন গর্বের সঙ্গে নিজেকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চিবুকের অধিকারী ইউটিউবার’ বলে পরিচয় দেন। অথচ শৈশবে এই চিবুকের কারণে কী তাচ্ছিল্যের শিকারই না হতেন তিনি। বিশেষ করে স্কুলে, সহপাঠীদের দিয়ে তিনি ভয়াবহ ‘বুলিংয়ের’ শিকার হয়েছিলেন।
জাপানের এই তরুণের নাম জনোউচি। তিনি বলেন, পাঁচ বছর বয়স থেকে তাঁর চিবুক অস্বাভাবিক লম্বা হতে শুরু করে। অথচ তাঁর পরিবারের আর কারও চিবুকের আকার অস্বাভাবিক নয়। এমনকি শৈশবের ছবি থেকে দেখা যায়, তিন বছর বয়স পর্যন্ত জনোউচির চিবুকের আকারও স্বাভাবিক ছিল।
কিন্তু পাঁচ বছর বয়স থেকে চিবুক লক্ষণীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে। পঞ্চম শ্রেণিতে এক সহপাঠী তাঁকে বলেছিল, তাঁর চিবুক অনেক লম্বা। তখন জনোউচি প্রথম বুঝতে পারেন, তাঁর চিবুক আসলেই অন্যদের থেকে বেশ আলাদা।
জনোউচি বলেন, নিজের উচ্চতা বাড়াতে তিনি বেশি বেশি দুধ পান করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এ প্রচেষ্টা তাঁর উচ্চতা বাড়াতে কাজে আসেনি। শুধু তাঁর চিবুকই অস্বাভাবিক লম্বা হতে শুরু করে। একসময় তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয় এবং এক্স-রে করার সময় চিকিৎসকেরাও অবাক হয়ে বলেন, তাঁরা আগে কখনো এমন চিবুক দেখেননি।
এক্স-রেতে জনোউচির চিবুকের হাড়ের অস্বাভাবিক গঠন ধরা পড়লেও এর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকেরা জিনগত সমস্যা বা অতিরিক্ত দুধপানে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করে দেন।
নিজের চেহারায় এ অস্বাভাবিকতার কারণে শৈশবে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটিই নিজের শক্তিশালী দিক হিসেবে তুলে ধরেন জনোউচি। তিনি এখন গর্বের সঙ্গে তাঁর চিবুক সবাইকে দেখান এবং আশা করেন, অন্যরাও তাঁদের যেকোনো ভিন্নতাকে গ্রহণ করবেন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জাপানি এ তরুণের মোট অনুসারী এখন সাড়ে ৭ লাখের বেশি।
জনোউচির গল্প অনলাইনে প্রাণবন্ত আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জাপানের একজন অনলাইন পর্যবেক্ষক বলেন, ‘তাঁর চিবুকের কোণ এতটাই অনন্য যে ভবিষ্যতের পুরাতত্ত্ববিদেরা হয়তো তাঁকে নতুন কোনো মানব প্রজাতি মনে করবেন।’