জাপানে ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা পর ৮০ বছরের বৃদ্ধা জীবিত উদ্ধার

জাপানের ওয়াজিমা শহরে বিধ্বস্ত একটি ভবন, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ছবি: এএফপি

জাপানে নতুন বছরের প্রথম দিনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক বৃদ্ধা জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। তাঁর বয়স ৮০-এর কোটায়।

সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকেতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ওয়াজিমা শহরের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই নারীকে বের করে আনা হচ্ছে।

গত সোমবার জাপানের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল প্রত্যন্ত নোতো উপদ্বীপ। ভূমিকম্পের পর ওই বৃদ্ধা তাঁর বাড়ির নিচতলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছিলেন।

ইতিমধ্যে ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিন পেরিয়ে গেছে। সাধারণত ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের জন্য ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এরপর জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমশ ফুরিয়ে আসে। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিত উদ্ধারের আশায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সুজু ও ওয়াজিমা শহরে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর ৩০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কিছু শহরে পানি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

সুজু শহরের মেয়র বলেছেন, শহরটির ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার এক মিনিট পরই শহরটিতে ছোট আকারের একটি সুনামি আঘাত করেছিল।

আরও পড়ুন

ভূমিকম্প থেকে ভবনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৮১ সালে জাপান কিছু বিধি প্রণয়ন করে। তবে অনেকগুলো কাঠের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এই বিধিগুলো কার্যকর হওয়ার আগেই।

জাপানের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের বরাতে শুক্রবার এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪২ জন এখনো নিখোঁজ।