মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’ করায় নারী মন্ত্রী গ্রেপ্তার
মালদ্বীপে পরিবেশবিষয়ক উপমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর ওপর ‘কালো জাদু’ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠেছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে এই উপমন্ত্রীসহ তিনজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। যদিও কি কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ তা জানায়নি।
পুলিশ জানায়, মালদ্বীপের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি বিষয়ক উপমন্ত্রী ফাতিমা শামনাজ আলী সালিম এবং আরও দুইজনকে গত রোববার রাজধানী মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, শামনাজকে এক সপ্তাহের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে তাঁর গ্রেপ্তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।
এদিকে মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ওপর কালো জাদু প্রয়োগ করার কারণে ফাতিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
তবে পুলিশ এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত বা খারিজ কোনোটিই করেনি।
ফাতিমার মন্ত্রণালয়টি দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ অন্যতম। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ দেশটি কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের পরিবেশবিশেষজ্ঞরা।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালদ্বীপে জাদুবিদ্যার চর্চা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে ইসলামি আইনে দেশটিতে জাদুবিদ্যাচর্চার দায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড হওয়ার বিধান রয়েছে।
ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশটিতে প্রথাগত নানা আচার-অনুষ্ঠানের প্রচলন রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, এসব আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুগ্রহ লাভ করা ও শত্রুকে অভিশাপ দেওয়া যায়।
২০২৩ সালের এপ্রিলে মালদ্বীপের মানাধু অঞ্চলে কালো জাদু প্রয়োগের অভিযোগে তিন প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬২ বছর বয়সী এক নারী। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারী জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।