ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ায় জানুয়ারি থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। অতিবর্ষণে দেশজুড়ে আরও বন্যা ও ভূমিধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছেএএফপি ফাইল ছবি

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিধসে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সেখানকার পাহাড়ি অঞ্চল তানা তরাজায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান সুলায়মান মাইলা রোববার জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় মোট ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জানিয়েছেন ভূমি ধসের পর থেকে সেখানকার আরও দুই বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন।

তানা তরাজা ও এর আশপাশের এলাকায় গত সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। শনিবার রাতের ঘটনার সময় পাহাড় থেকে মাটি ধসে এসে চারটি ঘর চাপা দেয়। এতে কাঠের তক্তা ও কংক্রিটের তৈরি ঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক বিবৃতিতে বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, এই বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে সেখানকার দুটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও চারটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালানো যাচ্ছে না। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় আক্রান্তদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় যানবাহন পাঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

উদ্ধার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, দুর্যোগ আক্রান্ত ওই এলাকাটি পাহাড়ি হওয়ার কারণে উদ্ধারকারীদের সেখানে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে প্রাণের সন্ধানে বিশেষ পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান গুনার্দি মুন্দু বলেন, শনিবার মধ্যরাতের কিছু সময় আগে ওই চারটি ঘরের ওপর চারপাশের পাহাড় থেকে কাদামাটি এসে পড়ে। এর মধ্যে সে সময় একটি ঘরে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে পারিবারিক আয়োজন চলছিল। তিনি বলেন, পাহাড় থেকে ধসে আসা মাটিতে গ্রামের কিছু অংশ একদম চাপা পড়ে গেছে।

ইন্দোনেশিয়ার সংবাদপত্র টেম্পো জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পৌঁছাতে রাস্তাঘাট পরিষ্কারের জন্য উদ্ধারকারীদের জরুরি ভারী সরঞ্জামাদি দরকার। সাউথ সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মাকাসার থেকে পাহাড়ি অঞ্চল তানা তরাজার দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার।

ইন্দোনেশিয়ায় জানুয়ারি থেকে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুষলধারের ওই বৃষ্টি সেখানে শত শত ঘর ধ্বংস করে ও হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে।