মিয়ানমারে একটি শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন সশস্ত্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রস্তুত করছেন বিদ্রোহী সংগঠন মান্দালায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের নারী সদস্যরাফাইল ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছেস দেশটির ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার রাতে জোটের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। শহরটি অনলাইন প্রতারণার একটি এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিদ্রোহীদের নতুন এ শহর দখল মিয়ানমানের জান্তা সরকারের জন্য একটি ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২১ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে জান্তা। তবে সামরিক শাসনের প্রতিবাদ শুরু হলে মিয়ানমারজুড়ে রক্তপাত বেড়ে যায়। জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো জোট বেঁধে জান্তার বিরুদ্ধে লড়ছে। চলমান লড়াইয়ে উত্তরাঞ্চলের শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারানো মিয়ানমারের জান্তার ওপর বড় চাপ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

শান রাজ্যের ওই শহরের নাম লুক্কাই। শহরটি চীনের সীমান্তসংলগ্ন। গত অক্টোবর থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে অভিযান জোরদার করে মিয়ানমারের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলো। পরের মাস থেকে শহরটি ছেড়ে পালাতে শুরু করেন অনেকে। সীমান্তের এ শহরে জুয়া, পতিতাবৃত্তি এবং অনলাইন স্ক্যামের বড় আখড়া রয়েছে।

অন্যদিকে সশস্ত্র সংগঠন মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) মিলে ওই জোট গড়েছে। এ জোট জানিয়েছে, লুক্কাই শহরটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লুক্কাই শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। এখন আর সেখানে কোনো সেনাসদস্য নেই। কয়েক সেনা ও সেনা কমকর্তাকে আটক করার কথাও জানিয়েছে জোট।

শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন দাবির বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোনে খাউ আজ শনিবার জানান, শহরটি এখন এমএনডিএএর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাঁদের ভূমি। তাঁরা সেটা ফিরে পেয়েছেন।

আরও পড়ুন