চাঁদে অবতরণ করেছে জাপানের নভোযান, তবে ফুরিয়ে আসছে বিদ্যুৎশক্তি

নভোযান অবতরণের খবরে হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে জাপানের জনগণ, ২০ জানুয়ারি, টোকিওর দক্ষিণে সাগামিহারাছবি: রয়টার্স

জাপানের নভোযান ‘মুন স্নাইপার’ আজ শনিবার চাঁদে অবতরণ করেছে। তবে এর সৌরব্যাটারিগুলো কাজ করছে না। এটির সঞ্চিত বিদ্যুৎশক্তিও ফুরিয়ে আসছে। জাপানের মহাকাশ সংস্থা (জাক্সা) এসব কথা জানিয়েছে।

জাক্সা বলেছে, স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম) নামের মিশনটি চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছেন। নভোযানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
তবে জাক্সার কর্মকর্তা হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, নভোযানটির সৌরসেলগুলো কাজ করছে না। এটিতে এখন যে পরিমাণ বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চিত আছে, তা দিয়ে আর ‘কয়েক ঘণ্টা’ চলবে।

চাঁদের বুকে মানুষের অবতরণের ৫০ বছর পর বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানির চাঁদে নভোযান পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। এর মধ্যে জাপানের স্লিম মিশন একটি। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে সফলভাবে নভোযান পাঠাল জাপান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং খুব সম্প্রতি ভারত চাঁদে নভোযানর পাঠিয়েছে।

আপাতত মিশনটির তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ যতটা পারা যায় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তবে কুনিনাকার আশা, সূর্যের দিক পরিবর্তন ঘটলে ব্যাটারিগুলো আবারও কাজ করা শুরু করবে।

এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে কুনিনাকা বলেন, ‘যদি অবতরণ সফল না হতো, এটি (নভোযানটি) অনেক উচ্চগতিতে ভেঙে পড়ত। আর সে ক্ষেত্রে নভোযানটির সব কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এটি এখন পৃথিবীতে তথ্য পাঠাচ্ছে।’

চাঁদে মুন স্নাইপারের অবতরণের খবরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, সৌরসেল নিয়ে আরও বিস্তারিত আকারে গবেষণার প্রয়োজন ছিল।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) প্রধান বিল নেলসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক পঞ্চম দেশ হিসেবে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করায় জাপানকে অভিনন্দন। মহাকাশে আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বের মূল্যায়ন করে থাকি আমরা। আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’